কখনও ঠান্ডা, আবার হঠাৎ গরম। আবহাওয়ার এই পরিবর্তনে শিশুদের জ্বর, সর্দি-কাশি লেগেই থাকে। একেতো অধিকাংশ শিশু খেতে চায় না, তার উপরে অসুস্থতার কারণে খাবারে অরুচি জন্মায়। কিন্তু খেতে না পারলে পুষ্টিহীন শরীর রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তিও পায় না। তাই সন্তানের খাবারে সব সময় বিশেষ নজর দিতে হয়।
অসুখের পর-পরই শিশুর মুখের রুচি ফেরাতে তৈরি খাবারের তালিকায় পরিবর্তন আনা উচিৎ।
কী পরিবর্তন আনতে হবে?
১. ডিম সিদ্ধ না দিয়ে এগ রোল বানিয়ে খাওয়াতে পারেন বাচ্চাকে (তিন বছরের বেশি বয়স হলে)।
২. রোগে ভুগলে মাছের প্রতি অনীহা জন্মায়, তারি করে দিন মাছের টিকিয়া বা চপ।
৩. চিকেন স্যান্ডুইচ দিতে পারেন। আর চিকেন স্টু বানালে তাতে সবজি ও মাখন যোগ করুন।
৪. আলুর মধ্যে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। তাই শিশুর ওজন কম হলে প্রতিদিনের খাবারে আলু রাখতে পারেন। স্বাদ আনতে আলুর পরোটা দিতে পারেন।
৫. ভাত, রুটি খেতে না চাইলে নানা রকম সবজি দিয়ে ফ্রাইড রাইস বানিয়ে দিন। ডিম দিয়ে সিদ্ধ মুগডালের খিচুড়িও রুচি ফেরায়।
৬. একমাত্র মরিচ ছাড়া যে কোনও মশলা শিশুর রান্নায় মেশাতে পারেন। এতে খাবারে স্বাদ আসবে।
৭. নানা ধরনের সবজি সিদ্ধ একটু মশলা দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন। চিঁড়া সিদ্ধর বদলে চিঁড়ার পোলাও দিন।
৮. দু’ বছরের বেশি বয়সি শিশুদের লুচিও দিতে পারেন।
৯. বিভিন্ন ফল দিয়ে ফ্রুট স্যালাড বানিয়ে দিন। শিশু কিছুই খেতে না চাইলে আইসক্রিম দিয়ে মিল্ক শেক বানিয়ে দিন। আইসক্রিমের মধ্যে দুধ ও মৌসুমি ফল দিয়ে শেক বানান। এই সময়ে শিশুরা একটু তরল খাবারের প্রতি আগ্রহ দেখায়। মিল্কশেক কাজে দেবে। ক্যালরিও পাবে। অসুখের সময় শিশুদের প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। সেই প্রয়োজনও মিটবে।
১০. শিশুর ফরমুলা ফুডে কলা, আপেল মেশাতে পারেন। দুধ পছন্দ না হলে, কাস্টার্ড বা রায়তা দিতে পারেন।
১১. শিশুকে সুস্বাদু খাবার খাওয়াতে গিয়ে দোকানের কেনা নয়, বাড়িতে বানানো খাবার খাওয়াবেন। সঙ্গে শিশুদের খেলাধুলোর মধ্যে রাখুন। এতে খিদে পাবে, হজমও হবে ভাল।