বর্তমানে দেশের পুঁজিবাজার এক সংকটময় সময় পার করছে। এই সংকট থেকে উত্তোরণের জন্য উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে (ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ) একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী। বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে আস্থার সংকট চলছে, সে অবস্থা থেকে উত্তোরণ ঘটাতে হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কার্যালয়ে গতকাল বুধবার সংস্থাটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সিএসই চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম। সাক্ষাতে শেষে সিএসই চেয়ারম্যানের উদ্দেশে ডিএসই চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে আস্থার সংকট চলছে, সে অবস্থা থেকে উত্তোরণ ঘটাতে হবে। এজন্য আমাদের একটি কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে। যে কোনো মূল্যেই হোক বিনিয়োগকারী তথা পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি পুঁজিবাজারকে গতিময় করে তুলতে হবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য শিল্পায়ন প্রয়োজন। আর শিল্পায়নে দীর্ঘমেয়াদি অর্থ সংগ্রহের উৎস হলো পুঁজিবাজার। তাই পুঁজিবাজারকে প্রাণবন্ত করার জন্য ভালো কোম্পানি আনার পাশাপাশি ভালো বিনিয়োগকারী আনার ব্যাপারে যৌথভাবে উদ্যোগ নিয়ে সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমি আশা করি, সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায়, বিশেষ করে ডিএসই ও সিএসইর যৌথ প্রচেষ্টায় দেশের পুঁজিবাজারে পণ্য-বৈচিত্রে বৈচিত্র্যময় করে সবার আস্থা অর্জনে সক্ষম হব। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা মজবুত করবে।
সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম বলেন, পুঁজিবাজারে আরো বেশি পরিমাণে ভালো সিকিউরিটিজ লিস্টেড করতে হবে ও আরো প্রডাক্ট চালু করতে হবে। তথ্য ও প্রযুক্তির ওপর আমাদের যথেষ্ট জোর দিতে হবে, যাতে আমরা পুঁজিবাজারকে আরো অনেক বিকশিত করতে পারি। আমরা এ বিষয়ে একমত হয়েছি—উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ একসঙ্গে পরামর্শমূলক মেকানিজম ও আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন সুপারিশ নিয়ে রেগুলেটরের কাছে যাব, যাতে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ভালো একটা পরিবর্তন আনতে পারি।
এসময় ডিএসইর পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, শেয়ারহোল্ডার পরিচালক শরীফ আনোয়ার হোসেন, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এম. সাইফুর রহমান মজুমদার ও সিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম ফারুক উপস্থিত ছিলেন।