ভুটানের থিম্পুতে স্বাক্ষরিত হয়েছে বাংলাদেশ-ভুটান ট্রানজিট চুক্তি। এতে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সহজতর হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
আজ বুধবার (২১ মার্চ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা হায়দার আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ১৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সংবাদকর্মীদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরে বলেছিলেন, ‘ভুটান একটি ল্যান্ড লক কান্ট্রি। আমদানি-রফতানিতে তাদের নিজস্ব কোনো নদী বা সমুদ্র বন্দর নেই। সেই ক্ষেত্রে তারা ভারতের কাছ থেকেও একই ধরনের সুবিধা নিয়ে থাকে। এখন বাংলাদেশের বন্দর ও সড়ক ব্যবহার করে আমদানি-রফতানি কাজ চালানোর একটি সুযোগ তারা পাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফলে বাংলাদেশের স্থল ও নৌবন্দর ব্যবহার করে ভুটান বিভিন্ন দেশে পণ্য আমদানি ও রফতানি করতে পারবে। এমন বিধান রেখে দুই দেশের মধ্যে শিগগিরই এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সইয়ের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।’
এ চুক্তি অনুমোদনের পর এখন বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে যাবে উল্লেখ করে মাহবুব হোসেন বলেন, ‘এর জন্য তারা কী পরিমাণে বা কী হারে রাজস্ব দেবে, সেটি এনবিআর নির্ধারণ করবে। সবকিছু শেষে চূড়ান্ত একটি চুক্তি হবে।’
তিনি জানান, বর্তমানে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গেও ট্রানজিট চুক্তি রয়েছে। ট্রানজিট চুক্তির আওতায় ভারত বাংলাদেশের কয়েকটি বন্দর ও সড়ক ব্যবহার করছে।