ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর কূটনীতিকদের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছে বিএনপি। এসময় দলটির নেতারা রাষ্ট্রদূতদের বলেছেন যে তাদের দল বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। রবিবার (১২ মার্চ) বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশের জনগণের মতোই সব গণতান্ত্রিক দেশও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও আগামী নির্বাচনের পরিবেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।” বিএনপির এই নেতা জানান যে, বিএনপি ইইউ রাষ্ট্রদূতদের স্পষ্ট করে বলেছে, বর্তমান সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে যাবে না।
তিনি বলেন, “ইইউভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি, আইনের শাসন, মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পর্যবেক্ষণের চেষ্টা করছে। বিশেষ করে, যেহেতু দেশ এবং এর বাইরেও পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে, স্বভাবতই বিষয়টির প্রতি তাদের (ইইউর) দৃষ্টি রয়েছে। সেইদিক থেকে আমরা আজ (রবিবার) তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।”
গুলশানের এবিসি হাউজে দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে ফ্রান্স, ইতালি, সুইডেন, জার্মানি, স্পেন, নরওয়ে ও নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন; আমির খসরু, শামা ওবায়েদ ও অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান।
আগামী নির্বাচন নিয়ে তারা কী আলোচনা করেছেন জানতে চাইলে খসরু জানান, “এই সরকার ক্ষমতায় থেকে দেশে জনগণের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেওয়ায়, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা কীভাবে ভেঙে পড়েছে তা নিয়ে কথা বলেছি।”
তিনি বলেন, “আগামী নির্বাচনে দেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারলে বাংলাদেশ সংকটে পড়বে বলে রাষ্ট্রদূতরা আশঙ্কা করছেন। এই শঙ্কা থেকে তারা (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) আগামী নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এবং কীভাবে এটিকে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করা যায়, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।”
“বিশ্বের যেসব দেশ বাংলাদেশকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, তারা স্পষ্টই জানে যে এদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না এবং বর্তমান সরকারের কারণে তারা তাদের প্রতিনিধি, সরকার ও সংসদ নির্বাচন করতে পারবে না। তারা (ইইউ দেশগুলো) এই সত্যটি সম্পর্কে সচেতন এবং এর পিছনের কারণগুলোকে জানে; বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।