মোবাইল চুরির অপবাদে নরসিংদীর শিবপুরে এক কিশোরীর হাত বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২৮ অক্টোবর) ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজিজা খাতুন (১৪) নামে ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাতে শিবপুরের খইনকুট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আজিজার বাড়ি নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার খনকুট গ্রামে। বাবার নাম আব্দুর সাত্তার, মা রেহেনা বেগম। ৭ ভাই বোনের মধ্যে আজিজা ছিল তৃতীয়।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে আজিজার হাত-পা বেঁধে তার শরীরে আগুন দেয় তারই চাচি। এরপর দগ্ধ অবস্থায় আজিজাকে যখন ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয় ততক্ষণে তার শরীরের ৯৬ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। আজিজার চাচির নাম বিউটি বেগম।
কিশোরীর পরিবার জানান, কিছু দিন আগে তার চাচি বিউটির একটি মোবাইল হারিয়ে যায়। বিউটির সন্দেহ ছিল মোবাইলটি আজিজা চুরি করেছে। কিন্তু আজিজা চুরি করেনি। এরপর গতরাতে হঠাৎ আজিজাকে মারধর ও ৩/৪ জন মিলে তার গায়ে আগুন দেয়।
শিবপুর থানার ওসি সৈয়দুজ্জামান জানান, দগ্ধ কিশোরীকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎধীন অবস্থায় শনিবার ভোর রাতে তার মৃত্যু হয়। লাশ ওই হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, ২৮ অক্টোবর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে