দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আজ রোববার মিরপুরে মুখোমুখি বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড হয়েছে। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের তোপের মুখে পড়া ইংল্যান্ড অল আউট হয়েছে মাত্র ১১৭ রানে। স্মরণীয় এই সিরিজ জিততে বাংলাদেশের ১১৮ রান দরকার।
তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে তাসকিনের বলে হাসান মাহমুদের হাতে ক্যাচ দেন মালান। ৮ বলে তিনি করেন ৫ রান। বাউন্ডারি একটি। হুট করে ওপেন করতে এসে অভিজ্ঞতাটা ভালো হলো না মালানের।
বল হাতে দ্বিতীয় আঘাতটা হানেন সাকিব আল হাসান। ওপেনার ফিল সল্টকে ফেরান বাংলাদেশ অধিনায়ক। নিজের বলে সাকিব নিজেই লুফে নেন ক্যাচ। ১৯ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ২৫ রান করে ফেরেন সল্ট। ৭.১ ওভারে ইংল্যান্ডের রান ২ উইকেটে ৫২।
দলীয় ৫৫ রানের মাথায় জস বাটলারকে সাজঘরে ফেরত পাঠান বাংলাদেশের তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। ইয়র্কার লেন্থের বলে বোল্ড হয়ে যান ইংলিশ অধিনায়ক। ৬ বলে মাত্র ৪ রান করেন বাটলার।
দলীয় স্কোরে মাত্র ২ রান যোগ হতেই আবারও টাইগার শিবিরে উল্লাস। এবার বল হাতে চমক দেখান দলে ফেরা স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। তার বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে বদলি খেলোয়াড় শামীম হাসানের তালুবন্দি হন মঈন আলী। ১৭ বলে সমান এক চার ও ছক্কায় ১৫ রান করেন তিনি।
১৫তম ওভারে জোড়া আঘাত মেহেদী হাসান মিরাজের। বিদায় নেন স্যাম কুরান (১২) ও ক্রিস ওকস (০)। দুজনই মিরাজের বলে হন স্টাম্পড। ১৪.৪ ওভারে ৯১ রানে ৬ উইকেট পতন ইংল্যান্ডের।
দলীয় ১০০ রানের মাথায় সপ্তম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ১০ বলে ৩ রান করা ক্রিস জর্ডানকে রনি তালুকদারের ক্যাচ বানান মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪ ওভারে ১২ রানে চার উইকেট নিলেন মিরাজ। যা তার টি টোয়েন্টির ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। আগেরটি ছিল ১৭ রানে তিন উইকেট।
টেল এন্ডাররা চমক দেখাতে পারেনি। ২৮ বলে সর্বোচ্চ ২৮ রান করা বেন ডাকেটকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। অভিষিক্ত রেহান আহমেদ ১১ বলে ১১ রান করে হয়ে যান রান আউট। শেষ বলে রান আউট হন জফরা আর্চার।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাসকিন, মোস্তাফিজ, সাকিব ও হাসান নেন একটি করে উইকেট। প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ জিতেছিল ৬ উইকেটে। আজ সিরিজ জয়ের দারুণ সুযোগ টাইগারদের সামনে।