যুক্তরাজ্যে পরকীয়ার জেরে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এক বোনের হাতে খুন হয়েছে আরেক বোন। ওই ঘটনায় বড় বোনকে ৬৮ বার ছুরি মেরে হত্যা করে তারই ছোটবোন।
আর খুনের পর সেটিকে ডাকাতির ঘটনার সময় খুন হয়েছে বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করে সেই ছোট বোন।
জানা গেছে, যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বড়বোন সাইমা খানের নিহতের বিষয়টি ছোট বোন সাবাহ খান পুলিশকে জানান, তখন বিষয়টিকে তিনি ডাকাতির মতো করেই সাজিয়েছিলেন। পুলিশকে ডাকাতদের বর্ণনাও দিয়েছিলেন তিনি। আর একবার দুবার নয় রীতিমতো ৬৮বার ছুরির আঘাত করে হত্যা করা হয়েছিল তাকে। একেবারে নিখুঁত বর্ণনায় বলছিলেন কয়জন ডাকাত কীভাবে তার বোনকে ছুরি মেরেছে। এরপর তিনি তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও তাকে রক্ষা করতে পারেননি, ইত্যাদি কথা।
কিন্তু পরে দেখা গেল বড়বোন সাইমা খানকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি সাবাহ একটি দোকান থেকে কিনেছেন। এরপর পুলিশের তদন্তে বের হয়ে আসে, খুনী আর কেউ নয় তারই নিজের ছোটবোন সাবাহ।
বাড়িতে যখন দুবোন ছিলেন তখনই ছোটবোন তাকে ৬৮বার ছুরির আঘাত করে হত্যা করে।
বড়বোনের স্বামীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল সাবাহর। আর পরিবারের সঙ্গেই তারা একই বাড়িতে থাকতেন। তবে এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে, তা পরিবারের সদস্যরা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেনি।
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত পরিবারের এ খুনের ঘটনাটি ইংল্যান্ডের বেডফোর্ডশায়ারের লুটন আদালতে ওঠে। সেখানে বিচারে ছোটবোনের ২২ বছরের জেল হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৪ ঘণ্টা, ২৮ অক্টোবর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে