মালয়েশিয়া বিমানবন্দর থেকে দেশটির ইমিগ্রেশন ১৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বিমানবন্দরে তাদের নিতে না আসায় শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার ফ্লাইটে তাদের কুয়ালালামপুর থেকে ফেরত পাঠানো হয়। তারা মালয়েশিয়া বিমানবন্দরে দুই দিন অপেক্ষা করেন।
জানা গেছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইটে করে ‘গ্রিনল্যান্ড ওভারসিজ’ ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ার এভারলেনটেন এসডিএন বিএইচডি কোম্পানির ২৯ জন বাংলাদেশি কর্মী পাঠায়। তাদের মধ্যে ১০ জনকে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ রিসিভ করে। বাকি ১৯ জনকে কেউ রিসিভ করতে না আসায় মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন তাদের ফেরত পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে রিক্রটিং এজেন্সি গ্রিনল্যান্ড ওভারসিজের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২৯ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ান কোম্পানি এভারলেনটেন এসডিএন, বিএইচডিতে পাঠায়। এ সময় কোম্পানি থেকে তাদের রিসিভ করতে গেলে ১০ জন কর্মীকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দিলেও বাকিদের ইমিগেশন ডাটা সঠিক না থাকায় তাদের ফেরত পাঠায় মালয়েশিয়ান এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন বিভাগ।
বিষয়টিকে অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেক করে মামুন জানান, এর আগে এই কোম্পানিতে ৪০ জন কর্মী পাঠিয়েছি। এটা আমাদের দ্বিতীয় ফ্লাইট ছিল। নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান জানিয়েছেন, ওই ১৯ জনের তথ্য সার্ভারে পাওয়া গেছে, সেক্ষেত্রে তারা ফের মালয়েশিয়ায় যেতে পারবেন।
ফেরত পাঠানো কর্মীদের পুনরায় পাঠাতে যে খরচ হয় হবে তা কোম্পানি বহন করবে, কর্মীদের নতুন করে কোনো অর্থ দিতে হবে না বলেও জানিয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এ বিষয়ে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার মিনিস্টার নাজমুছ সাদাত সেলিমের জানান, বাংলাদেশ থেকে ও মালয়েশিয়া এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন থেকে তাদের কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে কর্মী ফেরত পাঠানো বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া কথা বলেছেন তিনি।
এদিকে দেশে কর্মী ফেরত আসার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে জানাজানি হলে মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তারা বলছেন, বাংলাদেশিদের জন্য সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে যেন সাধারণ কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য কঠোর নজর রাখতে হবে সংশ্লিষ্টদের।