চুমাচুমি, দুধ খাওয়া, চোরের ভিটা’ ও ‘চর কাউয়া’র মতো শ্রুতিকটু নাম পরিবর্তন করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রুচিশীল নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত নীতিমালা এরই মধ্যে জারি করা হয়েছে। ছয় মাসের মধ্যে প্রস্তাবিত নতুন নাম নিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
আজ মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রী নামকরণের নীতিমালা ও বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে ব্রিফিংয়ে এসব সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শ্রুতিকটু ও উচ্চারণ অযোগ্য ২০০ স্কুলের নামের তালিকা করেছে মন্ত্রণালয়। এসব প্রাথমিক স্কুলের নাম স্থানীয় স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবিত নাম অনুযায়ী পরিবর্তন করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের সচিব জানান, কিছু স্কুলের নাম চর কাউয়া, চোরের ভিটা, মহিষ খোঁচা। খোদ প্রতিমন্ত্রীর এলাকার স্কুলের নাম মহিষ খোঁচা। এসব স্কুলের নাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যমান নাম পরিবর্তন নীতিমালার আওতায় পরিবর্তন করা হবে। স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি, মুক্তিযোদ্ধা ও সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই নাম দিতে হবে।
আগামী ৬ মাসের মধ্যে স্কুলের নাম পরিবর্তনের গেজেট প্রকাশের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সচিব ফরিদ আহম্মদ।
তিনি জানান, এছাড়া বদলিতে অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা রোধে অনলাইনে ৪ লাখ শিক্ষককে দ্রুততম সময়ে বদলি করা হবে। স্কুল ফিডিং কার্যক্রম চালু হবে। এতে ঝরে পরা রোধ করা যাবে। এ জন্য ৯ লাখ ৪৭ হাজার ৩২৭ শিক্ষার্থীর নিবন্ধন প্রোফাইল প্রণয়ন করা হচ্ছে। আগামী জুন-জুলাইয়ে দরিদ্রপ্রবণ এলাকার চালু হবে মিড ডে মিল। জিপই ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আওতা এটা দেওয়া হবে। কী খাদ্য হিসেবে দেওয়া হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। কলা, ডিম, বনরুটি, হটমিল। ২২ ফেব্রুয়ারি খাবারের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।