তুরস্কে ১২ বছর বয়সি এক শিশুকে ১৮২ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে দেশটির হাতায় প্রদেশের আঁতক্যা জেলায়।
একই প্রদেশে প্রায় একই সময়ে ১৭৭ ঘণ্টা পর এক বয়স্ক নারীকেও উদ্ধার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে।
অথচ সোমবার সকাল থেকে জীবিত উদ্ধারের আশা সবাই একধরনের ছেড়েই দিয়েছেন। এমনকি সোমবার বিকালে সিরিয়ার উদ্ধারকারী দল হোয়াইট হেলমেটসের এক কর্মী বলেছেন, না, আমার মনে হয় না আর কোনো ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হাজার হাজার মানুষ। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুই দেশের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
তুরস্কের জরুরি সমন্বয় কেন্দ্র এসএকেওএম জানিয়েছে, তুরস্কের ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকাগুলোয় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ হাজার ৬৪৩ জন হয়েছে।
প্রতিবেশী সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৪ হাজার ৫০০ ছাড়িয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে বহু ভবন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে মানুষ। তাদের মধ্যে স্বল্পসংখ্যককেই জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে।
উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, এখনও কিছু জীবিত মানুষ উদ্ধার করা যাচ্ছে। তবে বহু লোক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের জীবিত ফিরে পাওয়ার আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে।
সর্বশেষ ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ১৪৭ ঘণ্টা পর ১০ বছর বয়সি এক মেয়েকে উদ্ধার করেছেন তুরস্কের কর্মীরা।
এদিকে জার্মানির উদ্ধারকারী দল ও অস্ট্রেলীয় সেনাবাহিনী শনিবার তাদের উদ্ধার কার্যক্রম স্থগিত করেছে। কারণ হিসেবে তারা হাতায় প্রদেশে অজ্ঞাত দুই গ্রুপের সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করেছে।
খাদ্য সরবরাহ কমে যাওয়ায় সেখানে নিরাপত্তার আরও অবনতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন এক উদ্ধারকর্মী।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, তুরস্কের বিভিন্ন অঞ্চলে লুটপাটে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লুটের অভিযোগ তদন্ত করে দেশটির আটটি ভিন্ন প্রদেশ থেকে তাদের আটক করা হয়।
সংবাদ সূত্রঃ আল জাজিরা