তুরস্কের ভাগ্য নির্ধারণ করবে দেশটির জনগণ, ব্রিটিশ পত্রপত্রিকা নয়। সম্প্রতি ব্রিটিশ সাপ্তাহিক দি ইকোনোমিস্ট তুরস্কের অর্থনীতি নিয়ে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করেছে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান শুক্রবার ওই প্রতিবেদনের কঠোর সমালোচরা করে এ কথা বলেন। খবর ইয়েনি সাফাকের। ইস্তানবুলে জুমার নামাজের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এরদোগান এসব কথা বলেন। এরদোগান বলেন, আমার দেশে ভাগ্যবদল করবে আমার দেশের জনগণ, তারাই এ দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন।
ব্রিটিশ ওই পত্রিকার প্রতিবেদনকে তুরস্কের বিরুদ্ধে \’সম্তা প্রপাগান্ডা\’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন দেশটির আরেক কর্মকর্তা। আগামী ১৪ মে অনুষ্ঠিত হতে পারে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এমনটিই ইঙ্গিত দিয়েছেন এরদোগান।
একে পার্টির আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠকে এরদোগান সম্প্রতি নির্বাচনের এ তারিখের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট পদে ২০ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন এরদোগান। এ দুই দশকের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন ৬৮ বছর বয়সি এ নেতা।
মূল্যস্ফীতি আর খাদ্যপণ্যের দামবৃদ্ধির কারণে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে এরদোগানকে। এবারের নির্বাচনে মূল্যস্ফীতি সামলাতে না পারার খেসারত দিতে হতে পারে একে পার্টির এ নেতাকে।
এরদোগানের আমলেই মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় তুরস্ক। তবে সম্প্রতি অর্থনৈতিক কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ব্যাপকভাবে অর্থের মান কমেছে দেশটিতে।