বুধবার দুপুর ২টার দিকে নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম হিরো আলমের হাতে ‘একতারা’ প্রতীক তুলে দেন।
প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে হিরো আলম বলেন, ‘আমি অভিনয় অঙ্গনের মানুষ। অভিনয় ও গান নিয়ে আমার কাজ। তাই একতারা প্রতীক বেছে নিয়েছি। আমি সিংহ প্রতীকে ভোট করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সিংহ প্রতীক অন্য একটি নিবন্ধিত দলের জন্য নির্ধারিত। এজন্য একতারা প্রতীক পেয়ে আমি খুব খুশি।’
গতবারের মতো এবারও আমার অনেক যুদ্ধ করে প্রার্থিতা পেতে হয়েছে জানিয়ে হিরো আলম বলেন, ‘কেন এরকম বারবার হয়রানি করা হয় জানি না। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ব্যাপারে আমি পুরোপুরি আশাবাদী। সাধারণ মানুষ তাদের সেবা করার জন্য আমাকেই সুযোগ দেবেন বলে আমি নিশ্চিত।’
প্রচারণা নিয়ে হিরো আলম বলেন, ‘আগামীকাল (আজ)বৃহস্পতিবার থেকে একতারা প্রতীক নিয়ে দুই আসনেই প্রচারণায় নেমে পড়ব।’
বিএনপি দলীয় এমপিরা পদত্যাগ করায় বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। ওই দুই আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন হিরো আলম। কিন্তু ভোটার তালিকায় গড়মিল থাকার অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশন। পরে প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেন হিরো আলম। গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টের রায়ে তিনি দুই আসনেই তার প্রার্থিতা ফিরে পান। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ওই দুই আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
গতবার আমার লোকজন কম ছিল। এবার আমার জনপ্রিয়তা ও কর্মী-সমর্থক অনেক। তাই কেউ হামলার চেষ্টা করলে পাল্টা হামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা হিরো আলম। শৈশবে তিনি চানাচুর বিক্রি করতেন। পরে তিনি সিডি বিক্রি এবং ডিস সংযোগের ব্যবসা শুরু করেন। এরপর নিজেই মিউজিক ভিডিও তৈরি করে ডিস লাইনে সম্প্রচার শুরু করেন। এভাবে হিরো আলমের তৈরি মিউজিক ভিডিও ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনায় আসেন তিনি।