চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে রেল যোগাযোগ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। আজ বুধবার চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে বাংলাদেশ রেলওয়ের ৪২তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেললাইনের কাজ জুন-জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি, এই সময়ের মধ্যে আমরা কাজ শেষ করতে পারব। আর কোনো কারণে জুন মাসে কাজ সম্পন্ন না হয়, তাহলে এক বা দুই মাস বেশি লাগতে পারে। সেই সময়টাকে ধরে নিয়েই আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি—চলতি বছরের মধ্যেই রেলে আমরা কক্সবাজার ভ্রমণ করতে পারব। পাশাপাশি আগামী বছরে কাঙ্ক্ষিত কালুরঘাট সেতুর কাজও শুরু হওয়ার কথা জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা থেকে যশোর রেললাইন যেটা পদ্মা সেতু অতিক্রম করে যাবে সেই প্রকল্পের কাজও জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা।
প্রায় দুই বছর পর রেলওয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে রেলওয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নিচ্ছেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে রেলমন্ত্রী বলেন, খুলনা থেকে মংলা পর্যন্ত রেল সম্প্রসারিত হচ্ছে। রেলে যে লোকবল ঘাটতি ছিল তা পূরণ করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রেল ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করার জন্য নতুন নতুন ইঞ্জিন, কোচসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম রেলওয়েতে যোগ করা হয়েছে। এ ছাড়া রেলওয়ে কারখানা আধুনিকায়ন করা ও রাজবাড়ীতে কোচ কারখানা করা যায়, তার ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হচ্ছে। মাতারবাড়ীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান। রেলওয়ে ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু জাফর মিঞা, রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের জি এম অসীম কুমার তালুকদার, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আরমান হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী মো. বোরহান উদ্দিন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অর্থ) কামরুন নাহার, পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম, প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী মো. কুদরত-ই-খুদা, পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ট্র্যাক) মো. আরমান হোসেন, ডিআরএম, চট্টগ্রাম মো. আবিদুর রহমান, পূর্বাঞ্চলের প্রধান বৈদ্যুতিক কর্মকর্তা অজয় কুমার পোদ্দার, মহাব্যবস্থাপক ও প্রকল্প পরিচালক (দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমদুম ডুয়েলগেজ সিঙ্গেল লাইন নির্মাণ প্রকল্প) মো. মফিজুর রহমান, সরকারি রেল পরিদর্শক রুহুল কাদের আজাদ, যুগ্ম মহাপরিচালক (যান্ত্রিক) ফকির মো. মহিউদ্দিন, পূর্বাঞ্চলের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ফরিদ আহমেদ, পূর্বাঞ্চলের প্রধান সংস্থাপন কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত সিওপিএস মো. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা জোবেদা আক্তার, ডেপুটি সিসিএম তোষিয়া আহমেদ প্রমুখ।
দুই দিনব্যাপী এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মোট ৮টি দলের ক্রীড়াবিদরা ভিন্ন ভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেবেন। দলগুলো হচ্ছে লালমনির হাট দল (হলুদ দল), সদর দপ্তর/পশ্চিম দল (সাদা রং), পাহাড়তলী দল (লাল রং), চট্টগ্রাম দল (ডিপ গ্রিন), পাকশী দল (গোলাপী রং), সৈয়দপুর দল (হালকা নীল রং), সদর দপ্তর/পূর্ব (রক্তবর্ণ লাল রং) এবং ঢাকা দল (বেগুনী রং)।