চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালয়েশিয়ায় যাওয়া কন্টেইনারবাহী একটি জাহাজ থেকে এক কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরে একটি খালি কন্টেইনার থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘জাহাজটিতে থাকা একটি খালি কন্টেইনারে ওই কিশোর ছিল। পরে তার চিৎকার শুনে কেলাং বন্দর কর্তৃপক্ষ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।’
এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে একইভাবে খালি কন্টেইনারে মালয়েশিয়ার আরেক বন্দর পেনাংয়ে এক যুবকের লাশ পাওয়া গিয়েছিল।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, জাহাজটির স্থানীয় শিপিং লাইন ছিল কন্টিনেন্টাল ট্রেডার্স বিডি লিমিটেড। যেটিতে ওই কিশোরকে পাওয়া যায় সেটি ছিল রিলায়েন্স শিপিংয়ের। কন্টেইনারটি কুমিরা এলাকার নেমসন ডিপো থেকে জাহাজে তোলা হয়।
সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, ‘ইনট্রিগা নামের কন্টেইনার জাহাজটি গত ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রওনা হয়। ১৬ জানুয়ারি এটি মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরে গিয়ে পৌঁছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই কিশোর কন্টেইনারে লুকিয়ে মালয়েশিয়ায় গেছে। কোথা থেকে সে কন্টেইনারে প্রবেশ করেছে সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিপিং এজেন্ট জানিয়েছেন, বন্দর থেকেই তার কন্টেইনারে উঠার সম্ভাবনা বেশি। কারণ খালি কন্টেইনার জাহাজে তোলার সময় চেক করে তোলা হয়। আর জাহাজটি যেহেতু চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরাসরি মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরে গিয়েছে সেই হিসেবে মাঝে তার কন্টেইনারে প্রবেশের সুযোগ নেই।