আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে শিশুদের কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে। প্রথম পর্যায়ে ৪৪টি জেলা ও ৮টি সিটি করপোরেশনের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিশুরা এই ওষুধ পাবে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম।
তিনি জানান, প্রথম ধাপে ৪৪টি জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের এক ডোজ কৃমিনাশক ওষুধ ভরা পেটে খাওয়ানো হবে। প্রথম ধাপে এই এক সপ্তাহে ২ কোটি ৬০ লাখ শিশুকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোর লক্ষ্য সরকারের।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশিদ আলম জানান, ২০০৫ সালে পরীক্ষায় দেশের ৮০ শতাংশ শিশুর মলে কৃমির উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল। ওই বছর দেশে কৃমি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু হয়। বর্তমানে শিশুদের কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোর ফলে সংক্রমণের হার ৮০ থেকে ৮ শতাংশে নেমেছে। বয়স্ক মানুষের তুলনায় শিশুদের মধ্যে কৃমির সংক্রমণ বেশি।
তিনি আরও বলেন, এবারে ১ম ধাপে ওষধ সেবনকারী শিশুর কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ। কৃমিনাশক ওষুধ সেবনের হার অব্যাহত থাকলে এবং দেশের সকল শিশুকে পরিস্কার-পরিছন্নতা বিষয়ে শিক্ষাদানের মাধ্যমে তাদের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে প্রতিটি ঘরে আমরা কৃমিমুক্ত শিশু দেখতে পাব যা সুন্দর ও সুস্থ জাতি গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায় যে, কৃমির সংক্রমণ বয়স্ক মানুষের চেয়ে শিশুদের মধেই সবচেয়ে বেশি (০-৪) বছর ৭%, ৫-১৪ বছর ৩২%, ১৫-২৪ বছর ১৫%, ২৫-৪৪ বছর ৭%, ৪৫-৫৪ বছর ৫%, ৫৫ বছরের অধিক বয়সী মানুষের মধ্যে ৪%)। এই জরিপের ওপর ভিত্তি করেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শিশুদের মাঝে এই কৃমি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।