মেয়েদের যৌন লাঞ্চনার শিকার হওয়ার কাহিনি নিয়ে চলছে এই \’মি টু\’ ক্যাম্পেন। আর সেখানেই অন্য মহিলাদের মতোই মুখ খুলেছেন সোনা। বলিউডে প্লে-ব্যাক সিংগিং-এর জগতে এক পরিচিত নাম তিনি। বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় সেলিব্রিটি সোনা। চলন্ত ট্রেনে সবাই তখন শুয়ে পড়েছে। মিডল বার্থে শুয়েছিলেন সোনা মহাপাত্র।
মধ্যরাতে আচমকাই টের পেলেন আপার বার্থ থেকে একটি হাত নেমে এসে তার জিনসের প্যান্টের ভিতরে ঘোরা-ফেরা করছে। আতঙ্কে ঘৃণায় সিঁটিয়ে গিয়েছিলেন সোনা। তখন তার বয়স মাত্র এগারো বছর। পরিবারের সকলের সঙ্গে ঘুরতে যাচ্ছিলেন। এতটাই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে ঘেমে-নেয়ে একসা।
কিন্তু, মুখ ফুটে একটা শব্দও বের করতে পারেননি। চিৎকার করে বলতে পারেননি \’এটা কী হচ্ছে?\’ কারণ, সেদিন যে সোনা মহপাত্র-র জিনসের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে পাশবিক অত্যাচার চালিয়েছিল সে তার কাকা।
মালায়ালি এই কাকা সোনাদের প্রতিবেশী ছিলেন। মি টু\’ ক্যাম্পেনে এই তথ্য সামনে এনেছেন সোনা মহাপাত্র।
তার লেখায় বলিউডের এই শিল্পী জানিয়েছেন, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে থেকে যখন বাড়ি ফিরতেন সে সময়ও নাকি ট্রেনে ঘুমোতে পারতেন না সোনা মহাপাত্র। এমনও কিছু ট্রেন সফর গিয়েছে যেখানে টানা ৩৬ ঘণ্টা চোখের পাতা বন্ধ করতে পারেননি সোনা। তার নাকি মনে হত এই বুঝি ফিরে এল ছোটবেলার ট্রেন সফরের সেই দুঃস্বপ্ন।
বলিউডের এই শিল্পী জানিয়েছেন, \’মি টু\’ হ্যাশট্যাগে সকলেই কর্মস্থলে যৌন লাঞ্চনার কাহিনি শেয়ার করছেন। তবে, কর্মস্থলে তাকে কোনও যৌন লাঞ্চনার শিকার হতে হয়নি বলেই জানিয়েছেন সোনা। বরং তিনি কর্মস্থলে যে সম্মান পেয়েছেন তাতে তিনি অভিভূত বলেই জানিয়েছেন। যেভাবে দেশে-বিদেশে একজন মহিলা শিল্পী হিসাবে সম্মান পয়েছেন তা তাকে অনুপ্রাণিত করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ২৫ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এস