প্রতিপক্ষের ওপর হামলা করতে এবার উত্তর কোরিয়া তৈরি করতে যাচ্ছে মারণাত্মক বায়োলজিক্যাল(জৈবিক) অস্ত্র। এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে মার্কিন থিঙ্কট্যাংক বেলফার সেন্টার-এর একটি রিপোর্টে পরমাণু বোমা, হাইড্রোজেন বোমা এবং ব্যালিস্টিক মিসাইলের পর উত্তর কোরিয়ার এই নতুন অস্ত্র যে আরও ভয়ঙ্কর কিছু করবে এমনটাই আশঙ্কা করছে অনেকে৷
শোনা গেছে, ১৯৬০-এর দশকেই রাসায়নিক এবং বায়োলজিক্যাল(জৈবিক) অস্ত্র তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার মতে, এই বায়োলজিক্যাল ওয়েপন উৎপাদনের জন্য উত্তর কোরিয়ার কমপক্ষে তিনটি বায়োলজিক্যাল ওয়েপন প্রোডাকশন ইউনিট রয়েছে। এর সঙ্গে আবার বহু গবেষণা সংস্থা যুক্ত।
বেলফার সেন্টার-এর রিপোর্ট থেকেই জানা গেছে, কিমের দেশ এই ধরনের মারণাত্মক অস্ত্র প্রস্তুত করতে শুরু করেছে। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, যেখানে আমেরিকাসহ বিশ্বের বহু দেশের নজর রয়েছে কিমের পরমাণু অস্ত্রের ওপর, কিন্তু অন্যদিকে এর পাশাপাশি বায়োলজিক্যাল ওয়েপনও(জৈবিক অস্ত্র) যে তৈরি হচ্ছে, সেদিকে অনেকেরই লক্ষ্য নেই৷
রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে পরমাণু অস্ত্রের পাশাপাশি বায়োলজিক্যাল অস্ত্র থেকেই রক্ষা পাওয়া যায়৷ যদিও এখনও জানা যায়নি এই নতুন হাতিয়ারের প্রয়োগ ঠিক কিভাবে করতে চলেছে কিমের দেশ৷
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, ২৫ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/সাদ