আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া দলের জন্য কেউ অপরিহার্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘শুধু মাত্র আওয়ামী লীগ সভাপতি (শেখ হাসিনা) দলের জন্য অপরিহার্য। তাকে সমর্থন করবে না এমন কেউ নাই। সাধারণ সম্পাদক পদে অন্তত ১০ জন প্রার্থী আছেন, যারা সাধারণ সম্পাদক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশনে নেত্রীর ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে।’
ওবায়দুল কাদের আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের ভেন্যু পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সম্মেলনে কমিটিতে বেশি পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পরবর্তী কাউন্সিলে হয়তো বড় ধরনের রদবদল হবে। আপাতত বড় ধরনের পরিবর্তনের ব্যাপারে ভাবছি না। তবে কাউন্সিলরদের অভিমতের উপর সব নির্ভর করবে। আমি আগাম কিছু বলতে চাই না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সভাপতি আমাদের তিনি (শেখ হাসিনা) অপরিহার্য। তাকে সমর্থন করবে না এমন কেউ নাই। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী অন্তত ১০ জন। যারা সাধারণ সম্পাদক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। অনেকের ইচ্ছা আছে। কাউন্সিলর ও নেত্রীর ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে কাউন্সিলের ২য় অধিবেশনে। আপাতত বড় ধরনের পরিবর্তনের ব্যাপারে ভাবছি না। এবারের কমিটি অ্যাকটিভ, কেউ বাদ পড়বে বলে মনে হয় না। পরবর্তী কাউন্সিলে হয়তো রদবদল হবে।’
তিনি বলেন, আইসিটি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় এর সহযোগিতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। এখন লক্ষ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। আমরা ২০৪২ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে যাবো। বৈশ্বিক সংকটের কারণে এবারের সম্মেলন চ্যালেঞ্জিং। সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে এ সম্মেলনে স্মরণকালের সর্ব বৃহৎ সুশৃঙ্খল উপস্থিতি নিশ্চিত করবো। এর মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার উদ্দেশে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।
কাদের বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেছি। সে লক্ষে কাজ করে যাবো। মূল লক্ষ্য শেখ হাসিনার নেতৃত্ব উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ। সুশৃঙ্খল ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ গড়র তুলবো। আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আগামী সরকার পরিচালনার জন্য প্রস্তুত আওয়ামী লীগ। এ সময় নিবন্ধিত সব দলকে কাউন্সিলে দাওয়াত দেওয়া হবে বলেও জানান কাদের।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ২০৪১ সালকে সামনে রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এবারের কাউন্সিল। জাতীয় কাউন্সিল মানে নতুনত্ব কিছু, চমক তো অবশ্যই থাকে। কাজেই কী ধরনের নেতৃত্ব আসবে, তা ২৪ ডিসেম্বরই বলা যাবে।
এরই মধ্যে সম্মেলন প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, বছর খানেক পরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির মাধ্যমেই এ নির্বাচন পাড়ি দিতে চায় দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকরা।
দলটির আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, কমিটির পরিধি ৮১ সদস্য বিশিষ্টই থাকছেই। আর গঠনতন্ত্রের কিছু ধারা-উপধারায় কিছু শব্দচয়ন এবং সংশোধনের বিষয় আছে। তবে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হবে না।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও এস এম কামাল হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম প্রমুখ।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এবার আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের ব্যয় সংকোচন করা হয়েছে। ফলে অনেক আয়োজনেই কাটছাঁট হচ্ছে। এবারের সম্মেলনেও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আমন্ত্রণ পাচ্ছে। রাজনীতিবিদ ছাড়াও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, পেশাজীবী নেতা ও বিদেশি কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।