৩৬ বছরের দুঃখ ঘোচানোর পথে আর্জেন্টিনা একধাপ এগিয়ে। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে প্রথমার্ধের খেলা শেষে আলবিসেলেস্তেরা এগিয়ে আছে ২-০ গোলের ব্যবধানে।
লুসাইল স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে লিওনেল মেসি দলকে লিড এনে দেন। এরপর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হুলিয়ান আলভারেজ।
ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলে রেখে আর্জেন্টাইন রক্ষণে চাপ তৈরি করতে থাকে ক্রোয়েশিয়া। তবে ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, নিকোলাস ওতামেন্দিদের নৈপুণ্যে ডি-বক্সে ঢোকার সুযোগ পায়নি মদ্রিচরা। ১৬ মিনিটে প্রথম কর্নার তুলে নেয় ক্রোয়াটরা। ১৭ মিনিটে গোলের জন্য প্রথম শট নেয় গত আসরের রানার্সআপরা। তবে তাদের সে শট থাকেনি লক্ষ্যে।
অন্যদিকে ম্যাচের ১৮ মিনিট পেরিয়েও আক্রমণে বেশ ব্যাকফুটে ছিল আর্জেন্টিনা। ক্রোয়েশিয়ার ৬৫ শতাংশের বিপরীতে মেসিরা তখন পর্যন্ত মাত্র ৩৫ শতাংশ সময় বল দখলে রাখতে পেরেছিল। তবে গোলের জন্য কোনো শটই নিতে পারেনি দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের ২২ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণে হানা দিয়েছিল আর্জেন্টিনা। তবে প্রতিপক্ষের রক্ষণ দেয়ালের বাধায় মেসিরা গোলের জন্য শট নিতে ব্যর্থ হন। ২৫ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে এনজো ফার্নান্দেজের শট ফিরিয়ে দেন লিভাকোভিচ।
এক মিনিট পর আর্জেন্টিনার রক্ষণে হানা দিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। তবে বিপদ বাড়ার আগেই কোভাসিচকে আটকে দেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডাররা। ৩১ মিনিটে গোলের জন্য শট নেন পেরিসিচ। তবে তার শটটি চলে যায় বারের উপর দিয়ে। পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ডি-বক্সে লিভাকোভিচের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। সফল স্পটকিকে দলকে এগিয়ে নেন লিওনেল মেসি। এ গোলের মাধ্যমে ১১ গোল করে ফিফা বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ গোলস্কোরারের তালিকায় বাতিস্তুতাকে পেছনে ফেলেছেন মেসি।
৩৯ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ক্রোয়াটদের ডি-বক্সে দুই ডিফেন্ডারের বাধা কাটিয়ে লিভাকোভিচকে পরাস্ত করে বল জালে জড়ান হুলিয়ান আলভারেজ। এক মিনিট পর ডি-বক্সের বাইরে থেকে রদ্রিগো ডি পলের শট ক্রোয়াট ডিফেন্ডারদের বাধায় লক্ষ্যে থাকেনি।
বিরতির আগে গোল শোধের সুযোগ পেয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। তবে ওতামেন্দি ও এমিলিয়ানো মার্টিনেজের নৈপুণ্যে তারা সে সুযোগ হাতছাড়া করে। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। ১৯৮৬ সালের পর আরও একবার বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে তোলার পথে আর মাত্র দুই ধাপ পেছনে তারা।