কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে হারিয়ে ক্রোয়েশিয়া এবং নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা সেমিফাইনালে উঠেছে। আগামী মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) এ দুদল সেমির লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে। তার আগে চলুন দেখে নেয়া যাক পরিসংখ্যানে এগিয়ে কারা।
আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়া এখন পর্যন্ত মুখোমুখি হয়েছে ৫ ম্যাচে। যেখানে দুদলের জয়ই দুটি করে। একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। রাশিয়া বিশ্বকাপে নিজেদের সবশেষ দেখায় ৩-০ গোলে জিতেছিল ইউরোপের দেশটি। পাঁচবারের দেখায় দুদলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোল করেছে ক্রোয়াটরা। তাদের ৬ গোলের বিপরীতে আলবিসেলেস্তেদের গোল ৫টি।
কোয়ার্টার ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ব্রাজিল ও ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচ অমীমাংসিত দুদলের মধ্যে থাকলে টাইব্রেকার হয়। টাইব্রেকারে প্রথম শটই মিস করেন ব্রাজিলের রদ্রিগো। অন্যদিকে প্রথম দুই শটে দলকে এগিয়ে রাখেন ক্রোয়েশিয়ার লভ্র মাজের ও নিকোলা ভ্লাসিচ। পরের শটে ব্রাজিলের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখেন ক্যাসেমিরো।
লুকা মদ্রিচের শটও ঠেকাতে পারেননি অ্যালিসন বেকার। পেদ্রো এসে ফের লড়াইয়ে ফেরান ব্রাজিলকে। কিন্তু অ্যালিসন পারেননি মিসলাভের শট ঠেকাতে। পরের শটে দলকে হতাশ করে মারকুইনস। আর তাতে আসর থেকেই ছিটকে যায় ব্রাজিল। টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে পা রাখে ক্রোয়েশিয়া।
অন্যদিকে আর্জেন্টিনা-নেদাল্যান্ডসের মধ্যকার টাইব্রেকারে প্রথম শট নিতে আসেন ডাচ ফুটবলার ফন ডাইক। বাম প্রান্ত দিয়ে নেয়া তার শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। আর্জেন্টিনার পক্ষে প্রথম শট নিয়ে গোল করেন মেসি। ডাচদের দ্বিতীয় শটও ফিরিয়ে দেন মার্টিনেজ। পরের শটে গোলও করে তার দল।
টাইব্রেকারের স্কোর লাইন তখন ২-০। নেদারল্যান্ডস ও আর্জেন্টিনা, দুদলই পরের শটে গোল করে। চতুর্থ শটটিও সফল হয় ডাচদের। আর্জেন্টিনা পরের শট মিস করে। ফলে আশা বেঁচে থাকে ৩-২ গোলে পিছিয়ে থাকা ডাচদের। কিন্তু লতারো মার্টিনেজ পরের শটে গোল করলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয় মেসিদের।