পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারিয়ে নকআউট পর্বে চলে গেছে দক্ষিণ কোরিয়া। যদিও দ্বিতীয় রাউন্ড পর্তুগাল নিশ্চিত করে ফেলেছিল আগেই।
দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য আজ ছিল বাঁচা-মরার ম্যাচ। পরের রাউন্ডে যেতে হলে এই ম্যাচে পর্তুগালকে হারানো ছাড়া উপায় ছিল না দেশটির। সেইসঙ্গে উরুগুয়ের ম্যাচের দিকেও তাদের তাকিয়ে থাকতে হয়েছে। ম্যাচটিতে ২-০ গোলে ঘানাকে হারিয়েছে উরুগুয়ে।
কিন্তু জিতেও ছিটকে গেল উরুগুয়ে। পয়েন্ট ও গোলপার্থক্য সমান সমান উরুগুয়ে-দক্ষিণ কোরিয়ার। কিন্তু ফেয়ার প্লে-র কারণেই দক্ষিণ কোরিয়া চলে গেল নকআউট পর্বে। ছিটকে গেলেন সুয়ারেজরা।
২০০২ বিশ্বকাপেও কোরিয়ার কাছে হেরেছিল পর্তুগাল। এ দিনও হারল রোনাল্ডোর টিম। ২-১ জিতে কোরিয়া বাজিমাত করল। ইনজুরি টাইমের গোল পুরো অঙ্কই বদলে দিল।
শুক্রবার দিবাগত রাতে কাতার বিশ্বকাপের ‘এইচ’ গ্রুপে এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে আজ ৯১তম মিনিটে ২-১ এগিয়ে যায় দক্ষিণ কোরিয়া। ওয়াং হি চ্যান-এর দুরন্ত গোলে এগিয়ে যায় দেশটি।
ম্যাচের শুরুতে দাপট দেখাতে থাকে পর্তুগাল। গোল পেতেও বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। ম্যাচের ৫ মিনিটের মাথায় ডান পাশ থেকে ডিয়েগো দালোতের বাড়ানো ক্রসে দারুণ এক গোল করে পর্তুগালকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন রিকার্ডো হোর্তা। এবারের বিশ্বকাপে তিনি পর্তুগালের ৩য় খেলোয়াড় যিনি বিশ্বকাপে অভিষেক ম্যাচেই গোল করলেন।
এক গোল খেয়েই গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে দক্ষিণ কোরিয়া। যার ফল হিসেবে তারা গোলও পেয়ে যায়। ২৫ মিনিটে কর্নার থেকে বল রোনালদোর কাঁধে লেগে কিম ইয়ং গিয়োনের পায়ে আসলে দারুণ এক শটে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান তিনি। ৩৩ মিনিটে গোলের সুযোগ পায় পর্তুগালও। কিন্তু দালোতের শট রুখে দেন কোরিয়ার গোলরক্ষক। এরপর ম্যাচে আর কোন গোল না হলে ১-১ গোলে সমতায় থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল