সংযুক্ত ইউক্রেন অঞ্চলগুলি রয়েছে পারমাণবিক সুরক্ষার অধীনে: ক্রেমলিন

ইউক্রেন থেকে দখল করা চারটি অঞ্চল পারমাণবিক অস্ত্রাগারের সুরক্ষার অধীনে রয়েছে। আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এমনটা জানিয়েছে ক্রেমলিন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, তীব্র উত্তেজনাকর এক মুহুর্তে এ ধরনের বিবৃতি দিয়েছে ক্রেমলিন। এমন সময় ক্রেমলিন বিবৃতি দিয়েছে যখন ন্যাটো এবং রাশিয়া উভয়ই তাদের পারমাণবিক অস্ত্র বাহিনীর প্রস্তুতি পরীক্ষা করার জন্য শীঘ্রই সামরিক অনুশীলন করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই অঞ্চলগুলি মস্কোর পারমাণবিক ছাতার অধীনে ছিল কিনা এই প্রশ্নের জবাবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘এই সমস্ত অঞ্চল রাশিয়ান ফেডারেশনের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং রাশিয়ার বাকি অংশের মতো সেগুলি সব সুরক্ষিত।’

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত মাসে বলেছিলেন, রাশিয়ার ‘আঞ্চলিক অখণ্ডতা’ রক্ষার জন্য প্রয়োজনে মস্কো পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৬ অক্টোবর বলেছিলেন, তার হুমকি ১৯৬২ সালের কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর যে কোনো সময়ের চেয়ে বিশ্বকে ‘আর্মগেডন’ এর কাছাকাছি নিয়ে এসেছে যখন অনেকে আশঙ্কা করেছিল একটি পারমাণবিক যুদ্ধ আসন্ন হতে পারে।

ইউক্রেনে রুশ আগ্রসনের প্রায় আট মাস চলছে। এর মধ্যে কিছু বিশ্লেষকের ধারণা, পুতিনের পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার করার সম্ভাবনা বেড়েছে কারণ তার সেনাবাহিনী বড় একটি সিরিজ পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে। পুতিনের মিত্র বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো গত সপ্তাহে রাশিয়াকে কোণঠাসা করার বিরুদ্ধে পশ্চিমকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন।

অন্যান্য বিশ্লেষকরা বলেছেন, পারমাণবিক ঝুঁকিকে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। পুতিনের পক্ষে এই ধরনের সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী হবে।

ন্যাটো এই সপ্তাহে পারমাণবিক প্রস্তুতির অনুশীলন পরিচালনা করছে। তাদের ধারণা রাশিয়া তার নিজস্ব পারমাণবিক মহড়া অচিরেই আয়োজন করবে। কিন্তু পেসকভ জানিয়েছেন, তার কাছে এই বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।

তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠান পরিচালনার বিষয়ে জানানোর জন্য বিজ্ঞপ্তির একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থা রয়েছে এবং এটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের চ্যানেলের মাধ্যমে করা হয়।’

পুতিন গত মাসে ঘোষণা করেছিলেন, মস্কো ইউক্রেন থেকে যে অঞ্চলগুলি কেড়ে নিচ্ছে তা ‘চিরকালের জন্য’ রাশিয়ার অংশ হবে। কিন্তু রাশিয়া চারটি অঞ্চলের কোনোটিকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ এবং এখনও তাদের সীমানা নির্ধারণ করতে পারেনি।

ইউক্রেন, তার পশ্চিমা মিত্ররা এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অপ্রতিরোধ্য সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ সংযুক্তিটিকে অবৈধ হিসেবে নিন্দা জানিয়েছিল।

৩০ সেপ্টেম্বর ক্রেমলিনের একটি জমকালো অনুষ্ঠানে তাদের নিয়ন্ত্রণ দাবি করার পরও রাশিয়া চারটি অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। পেসকভ বলেছেন, রাশিয়ার আইনি, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তাদের সংহত করার জন্য কাজ এখনও চলছে।

সংবাদ সূত্রঃ রয়টার্স

Scroll to Top