কয়েক মাস শান্ত থাকার পর, সোমবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে। ইউক্রেন দাবি করেছে, সোমবার সকালে কিয়েভসহ আশাপাশের এলাকায় উপুর্যপরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে রাশিয়া। হতাহতের খবরও পাওয়া যাচ্ছে। ক্রিমিয়া সেতুতে হামলার জন্য মস্কো ইউক্রেনকে দায়ি করার পরের দিনই কিয়েভে হামলার ঘটনা ঘটলো।
দীর্ঘদিন পর আবারো ভয়াবহ বিস্ফোরনে কেঁপে ওঠছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ। সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, সোমবার সকালে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট দপ্তরের উপ-প্রধান কার্লো টিমোশেঙ্কো জানান, অন্যান্য শহর থেকেও হামলার খবর আসছে। এ হামলায় এখন পর্যন্ত একজনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে কিয়েভের মেয়র। তবে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সংযোগকারী সেতুতে হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করার পরদিনই এ এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলো।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ক্রিমিয়া রেল ও সড়ক সেতুতে ভয়াবহ হামলার জন্য ইউক্রেনকে অভিযুক্ত করেছেন। একইসঙ্গে এই হামলাকে তিনি ‘সন্ত্রাসবাদী কাজ’ বলেও আখ্যায়িত করেন। তিনি আরো বলেন, ইউক্রেনের গোয়েন্দা বাহিনী ক্রিমিয়ার সেতুতে হামলা করেছে।
এ ঘটনায় গঠিত রাশিয়ার তদন্ত কমিটির সদস্যদের সাথে রোববার বৈঠক করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ক্রিমিয়ার এ সেতুতে বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন কমিটির কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন, সেতুতে বিস্ফোরণের সময় নিহতরা কাছাকাছি একটি গাড়িতে ছিলেন।
রাশিয়ার তদন্ত কমিটির প্রধান আলেকজান্ডার বাস্ট্রিকিনের মতে, আক্রমণটি ইউক্রেনীয় গোয়েন্দাদের পরিকল্পনাতেই হয়েছে এবং এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিদেশী নাগরিকসহ কিছু রুশ নাগরিকের সহায়তাও ছিল। সেতুতে বিস্ফোরিত হওয়া ট্রাকটি বুলগেরিয়া থেকে জর্জিয়া ও আর্মেনিয়া হয়ে রাশিয়ায় পৌঁছেছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।