নারী এশিয়া কাপের ৭টি দলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন পঞ্চম। এই অবস্থানই বলে দিচ্ছে কাপের রেসে থাকতে হলে সেমিফাইনালে ওঠার জন্য পাড়ি দিতে হবে কঠিন পথ।
চার ম্যাচ খেলে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের জয়-পরাজয় সমান দুটি করে। ৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে অবস্থান করছে ভারত। তার পরে থাকা পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের পয়েন্ট ৬ করে। আর পাঁচে থাকা বাংলাদেশের পয়েন্ট চার।
প্রথম দুই ম্যাচে হারের পর থাইল্যান্ডের হ্যাটট্ট্রিক জয়েই মূলত কিছুটা চাপে বাংলাদেশ। তবে স্বস্তির বিষয় হলো এখনো দুটি ম্যাচ বাকি আছে। শ্রীলঙ্কা ও আরব আমিরাতের বিপক্ষে জয় পেলে নিশ্চিতভাবেই নিগার সুলতানা জ্যোতির দল পাবে সেমির টিকিট।
তবে বিপত্তি বাঁধবে যদি কোনো একটি ম্যাচে হেরে বসে। তখন থাইল্যান্ডের সঙ্গে যেতে হবে নেট রানরেটে। অবশ্য রানরেটেও থাইল্যান্ড থেকে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের রানরেট ০.৫০৬। আর থাইল্যান্ডের -০.৩০৮।
থাইল্যান্ডের একটি ম্যাচ বাকি ভারতের বিপক্ষে, এই ম্যাচে অনুমতিভাবে পিছিয়ে তারা। তবে যদি কোনো অঘটন ঘটে যায় তাহলে পুড়তে পারে বাংলাদেশের কপাল। এটি অবাস্তবও নয়। কারণ, পাকিস্তানকে হারিয়েইতো থাইদের জয় যাত্রা শুরু হয়।
তাইতো বাংলাদেশকে জয়ের পাশাপাশি হার চাইতে হবে থাইল্যান্ডেরও। আগামীকাল সকাল ৯টায় বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে। সেমির যাত্রার কথা না ভেবে বাংলাদেশ ম্যাচ বাই এগোতে চায়।
অলরাউন্ডার লতা মন্ডল বলেন, ‘হ্যাঁ, ঠিক আছে গত ম্যাচটা খারাপ হয়েছে। কিন্তু এখন পরের ম্যাচ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে, ওটাই লক্ষ্য। এখনও দুইটা ম্যাচ আছে। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ যাচ্ছি। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচটা চেষ্টা করবো সেরা ক্রিকেট খেলতে।’