রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনো ওষুধ ফার্মেসি বা অন্য কোনো অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে সে ফার্মেসির লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, কোনো ফার্মেসি রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করার পর সেটি যদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং এ ধরা পড়ে তাহলে বাতিল করা হবে তার লাইসেন্স।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অ্যান্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহার রোধে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত একটি আন্তঃ মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের ভুল প্রয়োগে বিশ্বে বছরে ১৫ লাখের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। বাংলাদেশেও অ্যান্টিবায়োটিকের ভুল প্রয়োগে এখন মৃত্যু হার বাড়ছে। দেশে যত্রতত্র ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা হচ্ছে। পৃথিবীর কোথাও রেজিস্ট্রারড চিকিৎসকের নির্দেশনা ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি হয়না। কিন্তু আমাদের এখানে যেখানে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই সেখানেও ইচ্ছেমাফিক তা প্রয়োগ হচ্ছে। মাছ, মাংসের মধ্যেও এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে। খাদ্যে ইচ্ছেমতো ভেজাল মেশানো হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে আইনেরও অনেকটা ঘাটতি রয়েছে। এই সুযোগটিই দুর্বৃত্তরা কাজে লাগাতে চেষ্টা করছে। তবে, আশার কথা হচ্ছে, ওষুধ আইন-২০২২ করার কাজ চলমান। একনেকেও পাশ হয়ে গেছে আইনটি। এখন সংসদে পাশ হলেই এই আইনের প্রয়োগ ঘটানো হবে এবং অপচিকিৎসার সাথে জড়িত ও ভেজাল মেশানোদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া যাবে। দেশে অ্যান্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহার এখনই রোধ করতে হবে। নইলে এটিই হবে আমাদের জন্য আরেকটি নিরব মহামারী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা প্রসঙ্গে বলেন, গত চার দিনে অনেক মানুষ টিকা নিয়েছে। এতে আমরা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৮ ভাগই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। যারা এখনো টিকা নেয়নি তাদের জন্য আগামী তিনদিন টিকা দেয়া হবে। এরপর তারা আর টিকা নাও পেতে পারেন।
সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলমসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।