চলতি মাসে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিলাসবহুল মার-এ-লাগো বাসভবনে এফবিআই’র অভিযান নিয়ে তোলপাড় চলছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে বেশ কিছু গোপন নথি পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। তবে এর আগে গত জানুয়ারি মাসে ফ্লোরিডার ওই একই বাড়ি থেকে সাত শতাধিক পৃষ্ঠার রাষ্ট্রীয় গোপন নথি উদ্ধার করেছিল দেশটির ন্যাশনাল আর্কাইভস কর্তৃপক্ষ।
গত ১০ মে ট্রাম্পের অ্যাটর্নি ইভান করকোরানের কাছে একটি চিঠি পাঠান যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত আর্কাইভিস্ট ডেবরা স্টিডেল ওয়াল। গত সোমবার (২৩ আগস্ট) রাতে চিঠিটি প্রকাশ করেছেন রক্ষণশীল সাংবাদিক জন সলোমন, যাকে ট্রাম্প তার প্রেসিডেন্সিয়াল রেকর্ড অ্যাক্সেস করার অনুমতি দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার চিঠিটির একটি কপি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল আর্কাইভসের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গত জানুয়ারিতে ট্রাম্পের বাড়ি থেকে যে ১৫ বাক্স ভর্তি ‘গোপন উপকরণ’ উদ্ধার করেছিল ন্যাশনাল আর্কাইভস ও রেকর্ডস প্রশাসন (এনএআরএ), তার মধ্যে বেশ কয়েকটিতে ‘টপ সিক্রেট’ লেখা ছিল।
ওয়ালের চিঠিতে বলা হয়েছে, বাক্সে থাকা উপকরণগুলোর মধ্যে গোপনীয় চিহ্নযুক্ত ১০০টিরও বেশি নথি ছিল, যার পৃষ্ঠার সংখ্যা সাত শতাধিক। এর মধ্যে বিশেষ অ্যাক্সেস প্রোগ্রামসহ (এসএপি) কয়েকটি নথি ছিল সর্বোচ্চ গোপনীয় মাত্রার।
ওই চিঠিতে ট্রাম্পের রাষ্ট্রীয় গোপন নথি হস্তগত করা এবং কেন্দ্রীয় কর্মকর্তাদের সেগুলো পর্যালোচনা বিলম্বিত করার চেষ্টা সম্পর্কেও উল্লেখ রয়েছে। এতে দেখা যায়, আর্কাইভের উপকরণগুলো এফবিআই ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের পর্যালোচনা আটকাতে বারবার চেষ্টা করেছে ট্রাম্পের আইনি দল।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এনএআরএ’র কাছে ওই ১৫টি বাক্স ফিরিয়ে দিলেও মার্কিন বিচার বিভাগের সন্দেহ, তার কাছে আরও গোপন রাষ্ট্রীয় নথি থাকতে পারে।
সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ২০২১ সালের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজ ছাড়ার সময় অবৈধভাবে অসংখ্য রাষ্ট্রীয় গোপন নথি সঙ্গে নিয়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি তদন্তের অংশ হিসেবে গত ৮ আগস্ট ট্রাম্পের মার-এ-লাগো বাসভবনে অভিযান চালায় এফবিআই। এসময় সেখান থেকে আরও ২০টি বাক্স জব্দ করা হয়, যার মধ্যে অন্তত ১১ সেট রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ছিল।
এরপর গত সোমবার মার্কিন বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে মামলা করেন ট্রাম্প। তার বাড়ি থেকে এফবিআই যেসব নথিপত্র জব্দ করেছে সে বিষয়ে তদন্ত স্থগিত করার জন্য আবেদন করেছেন তিনি।