নাটোরে বহুল আলোচিত কলেজ শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী কলেজ ছাত্র মামুন হোসেনকে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে মামুন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দাম্পত্য কলহের কথা স্বীকার করেছেন। মামুন জানান, গত শনিবার রাত ২টায় স্বামী স্ত্রী ঝগড়া হলে তিনি খাইরুনকে লাথি মেরে বাইরে চলে যান। এ তথ্য দিয়েছেন নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জেলা দায়রা জজ আদালতে তোলা হয় মামুনকে। এ সময় অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার স্বপন মামুনের জামিন আবেদন করেন। তবে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোসলেম উদ্দীন এই আবেদন নাকচ করে মামুনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, মামুন বের হওয়ার পর শিক্ষকা খাইরুন নাহার বেশ কয়েকবার মামুনকে ফোন করলেও সাড়া মেলেনি। এতে ক্ষোভে খাইরুন নাহার আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান মামুন। সেদিন রাত ২টা থেকে ৬টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে মামুনের ঘোরাঘুরির তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
রোববার সকাল ৭টার দিকে শহরের বলারিপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে খাইরুন নাহারের মরদেহ উদ্ধারের পর মামুনকে আটক করা হয়।
নিহত খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর পৌর সদরের খামারনাচকৈড় মহল্লার খয়বর আলীর মেয়ে। তিনি গুরুদাসপুরের খুবজিপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তার স্বামী মামুন হোসেন উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পলশুড়া-পাটপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি নাটোর এনএস কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
আট মাস আগে তারা বিয়ে করলেও সম্প্রতি এই বিয়ে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা হয়।