কলেজছাত্রকে বিয়ে করা শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪০) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ। তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
গুরুদাসপুর খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন খাইরুন নাহার এবং মামুন নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
সূত্র বলছে, ফ্যানের সঙ্গে ঝুলানো ছিল তার লাশ। তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে পুলিশের ধারণা। তবে এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, তিনি আত্মহত্যা করেছেন কি না! অনেকে বলছেন, তাকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হতে পারে।
এদিকে, ওই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধারের পর স্বামী মামুনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোর সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদ।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে কলেজছাত্র মামুন ও শিক্ষিকা খায়রুন নাহার গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ৬ মাসেরও বেশি সময় পার হওয়ার পর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক বছর আগে ফেসবুকে শিক্ষিকা নাহারের সঙ্গে একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মামুনের পরিচয় হয়। পরে তাদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের ৬ মাস পর তাদের সম্পর্ক জানাজানি হলে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার থেকে বিয়ে মেনে নেয়নি। এর আগে ওই শিক্ষিকা বিয়ে করেছিলেন রাজশাহী বাঘা উপজেলার এক ছেলেকে। পারিবারিক কলহে সেই সংসার বেশি দিন টিকেনি। প্রথম স্বামীর ঘরে এক সন্তান রয়েছে বলেও জানা গেছে।