রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা কূটনৈতিকভাবেই সব সমস্যা মোকাবেলা করব। কারো সঙ্গে বৈরীতায় জড়াব না। আমরা ধৈর্য ধরে সকল পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছি, এখনও করব। এ কারণেই আমরা জাতিসংঘসহ সকল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সুদৃষ্টি পেয়েছি। এভাবেই আমরা পরিস্থিতি মোকাবেলা করব। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি কথাগুলো বলেন।
এরই মধ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতিসংঘের কমিশনের প্রধান ও সংস্থাটির সাবেক মহাপরিচালক কফি আনান স্পষ্ট করেই বলেছেন, রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারের ফিরিয়ে নিয়ে তাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চললেও দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক চালু রেখেছে ঢাকা। এমনকি বড় পরিমাণে চাল কেনার চুক্তিও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান সরকার কীভাবে করে, সে নিয়ে আলোচনা আছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এরই মধ্যে ইস্যুটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা তৈরি করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘেও বিষয়টি তুলে ধরেছেন। আর মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফর করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবসন নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মতদ্বৈততা কাটেনি। বাংলাদেশ চাইছে ১৯৮০ দশকের শুরু থেকে নানা সময় যত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, সবাইকে ফিরিয়ে নিক দেশটি। কিন্তু দেশটির পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, সাম্প্রতিক যারা বাংলাদেশে এসেছে, তাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু বাংলাদেশ এই প্রস্তাব মেনে নেয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, ২৩ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএসপি