নূরে আলম এবং রহিম হত্যার প্রতিশোধ নিতে হবে – মির্জা ফখরুল

শান্তিপূর্ণভাবে গণআন্দোলন শুরু করে নূরে আলম এবং রহিম হত্যার প্রতিশোধ নিতে হবে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলমের জানাজার আগে তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ। এর চেয়ে বেদনার-যন্ত্রণার আর কিছু নাই। নূরে আলম ও আব্দুর রহিমকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ বাহিনী। এ ছাড়া ঢাকা ও বরিশালে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে আরও ১৯ জন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন পোক্ত করতে ১৫ বছর ধরে ছয়\’শ নেতাকর্মীকে গুম করেছে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে তারা মামলা দিয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন আর ক্রন্দন নয়, জেগে উঠতে হবে। এই নির্যাতনকারী সরকারের হাত থেকে জাতিকে মুক্ত করতে হবে। এ জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বিএনপির এই শীর্ষ স্থানীয় নেতা বলেন, আগামী ৫ থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে বিএনপি কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে, কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। ৬ আগস্ট ঢাকায় সমাবেশ করবে ছাত্রদল, ৭ আগস্ট কৃষক দল, ৮ আগস্ট যুবদল এবং ১০ আগস্ট শ্রমিক দল বিক্ষোভ সমাবেশ করবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় অনুষ্ঠিত এই জানাজায় বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও হাবিব-উন-নবী খান সোহেল

উল্লেখ্য, ভোলায় গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে জেলা বিএনপি গত রোববার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহরের মহাজনপট্টিতে বিক্ষোভ করে। ওই কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে সেদিনই মারা যান জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহিম। আহত হন অর্ধশতাধিক। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ নূরে আলম রাজধানীর গ্রিন রোডের কমফোর্ট হাসপাতালে মারা যান।

Scroll to Top