ময়মনসিংহের ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-বাবা ও বোনকে হারিয়ে অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া শিশুটি হাসপাতালের বিছানায় বেঁচে থাকার জন্য লড়ে যাচ্ছে। আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ আছে শিশুটি। তাকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে।
আজ রোববার (১৭ জুলাই) সকালে নগরীর লাবীব হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শিশুটি হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছে। হাসপাতালের নার্সদের বুকের দুধ পান করানো হচ্ছে শিশুটিকে।
এদিকে নবজাতকের বাবা-মাসহ পরিবারের তিনজনকে রাতেই দাফন করা হয়েছে নিজ এলাকা ত্রিশালে। আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে বইছে শোকের ছায়া।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে ময়মনসিংহের ত্রিশালে মহাসড়ক পারাপারের সময় ট্রাকচাপায় স্বামী- অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও ৫ বছর বয়সী মেয়ের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত নারীর গর্ভে থাকা নবজাতক অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়। সড়ক দুর্ঘটনায় মায়ের পেট ফেটে অলৌকিকভাবে জন্ম নেয়ার পর থেকেই নবজাতকটির ঠাঁই হয়েছে ময়মনসিংহ নগরীর লাবীব হাসপাতালে। ভাঙা হাত নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন জন্মলগ্নে বাবা-মা হারানো নবজাতকটি।
শারীরিকভাবে শঙ্কামুক্ত হলেও স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে তাকে। পরম মমতায় খাওয়ানো হচ্ছে হাসপাতালটির নার্সদের বুকের দুধ।
কমিউনিটি বেজড হাসপাতালের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. কামরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ভাঙা হাতটি সেরে উঠতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
এদিকে নিহত জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী-সন্তানকে হারিয়ে শোকের মাতম চলছে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে। বুকফাটা কান্নায় অজ্ঞান হয়ে পড়লে নিহত জাহাঙ্গীররের মাকে নেয়া হয় হাসপাতালে। নিহত জাহাঙ্গীর তার সদ্যভূমিষ্ঠ নবজাতকসহ রেখে গেছেন ৮ বছর বয়সী ছেলে ও ১০ বছর বয়সী কন্যাসন্তান।