মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযোজক হার্ভে ওয়েনস্টাইন যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনায় তোলপাড় হলিউড। এমন সময় ফের প্রকাশ্যে এলো এক বিস্ফোরক তথ্য। শুধু সিনেমা জগত নয়, ইউরোপে রাজনীতির ক্ষেত্রেও যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন নারীরা। রোববার \’দ্য সানডে টাইমস\’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, যৌন নির্যাতনের আখড়া হয়ে উঠেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) পার্লামেন্ট।
পুরুষ সাংসদদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন বেশ কয়েকজন নারী। এক নির্যাতিতা নারী জানান, কৌশলে একাধিকবার তার গোপনাঙ্গে হাত দিয়েছেন ৬০ বছর বয়সী এক প্রভাবশালী সাংসদ। এক পর্যায়ে বিষয়টি এক সহকর্মীকে জানান তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত চাকরি যাওয়ার ভয়ে বাধ্য হয়ে মুখ বুজে থাকতে হয়েছে তাকে। ওই ঘটনার পর থেকেই প্রবল আতঙ্কে রয়েছেন তিনি।
আরও এক অভিযোগকারী নারী জানান, তার সামনেই হস্তমৈথুন করেন এক প্রবীণ সাংসদ। ২৪ বছর বয়সী অপর এক নারীও এমন ভয়ানক পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। তার দাবি, জার্মানির এক সাংসদ একাধিকবার তার পিছু নেন ও শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করেন।
এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য ইইউ পার্লামেন্টের পরিকাঠামোকে দায়ী করেছেন নির্যাতিতারা। তারা জানান, ঘৃণ্য উদ্দেশ্য নিয়েই সুন্দরী যুবতীদের সহকারী পদে নিয়োগ দেন সাংসদরা। এরপর নানা উছিলায় তাদের গোপনাঙ্গে হাত দেওয়া থেকে শুরু করে জোর করে সঙ্গমে বাধ্য করা হয় তাদের। পেটের দায়ে অনেকেই মুখ বুজে থাকতে বাধ্য হন। তাই অবাধে চলে এসব ঘটনা।
এসব বিষয়ে অভিযোগ করলেও প্রশাসনিক জটে তা আটকে থাকে। ফলে ন্যায্য বিচার পাওয়ার পথও কার্যত বন্ধ। অনেক ক্ষেত্রে অভিযুক্তরা প্রভাব বিস্তার করে এসব মামলা ধামাচাপা দিয়ে দেন। এমন পরিস্থিতিতে অভিযোগ জানানোর সাহস হারিয়ে ফেলছেন অনেকে। অনেক সময় পুরুষ সহকর্মীরাও বিষয়টি জানার পর মুখ বুজে থাকতে বাধ্য হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, ২৩ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএসপি