রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মামুন খান নামের এক যাত্রী ৬ কোটি মূল্যমানের ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ সৌদি রিয়াল ফেলে পালিয়ে গেছেন। গতকাল বুধবার রাতে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের (EK 585) ফ্লাইটে দুবাই যাওয়ার জন্য চেক ইন করলেও ইমিগ্রেশন না করেই বিমানবন্দর ছেড়ে চলে যাওয়ায় তাকে ধরতে পারেনি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) মোহাম্মদ আবদুস সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের চেকিং হচ্ছিল। সে সময় ফ্লাইটের প্যাসেঞ্জার’স হোল্ড ব্যাগেজ স্ক্রিনিং রুমের স্ক্যানিং মেশিনে লাগেজটি স্ক্যান করা হলে মুদ্রা সদৃশ বস্তুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। লাগেজটির মালিককে খোঁজাখুজি করেও পাওয়া যায়নি।
পরে এভিয়েশন সিকিউরিটি ও কাস্টমস গোয়েন্দা কর্মকর্তার সহায়তায় লাগেজটি কাস্টমস হলে এনে অন্যান্য সংস্থার উপস্থিতিতে খোলা হয়। লাগেজে থাকা ৩১টি শার্টের ভেতরে কাগজের বোর্ডের মধ্যে মুদ্রাগুলো বিশেষ কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় রাখা ছিল। জব্দকৃত সৌদি রিয়ালের পরিমাণ ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০, বলেন মোহাম্মদ আবদুস সাদেক।
তিনি আরও বলেন, ‘যাত্রীকে খুঁজে না পাওয়ায় লাগেজের সঙ্গে থাকা ট্যাগ থেকে এমিরেটস কাউন্টার, ইমিগ্রেশন ও এভিয়েশন সিকিউরিটির সহায়তায় যাত্রীর বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়।’
এ ঘটনায় গ্রেফতার এড়াতে লাগেজের মালিক ইমিগ্রেশন কমপ্লিট না করেই এয়ারপোর্ট থেকে পালিয়ে গেছেন বলে জানান ঢাকা কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার। তিনি আরও বলেন, জব্দকৃত বৈদেশিক মুদ্রা ও লাগেজ ট্যাগের সঙ্গে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় ফৌজদারি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান। জব্দকৃত বৈদেশিক মুদ্রা কাস্টমস গুদামে জমা প্রদান করা হবে।
এ ছাড়া কাস্টমস অ্যাক্ট ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান মোহাম্মদ আবদুস সাদেক।