রাশিয়ার সেনারা ধর্ষণের মতো যৌন সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলে দাবি করে আসছে ইউক্রেন। কানাডায় নিযুক্ত ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূত ইউলিয়া কোভালিভ বলেছিলেন ইউক্রেনের শিশুদের ওপর যৌন হয়রানির অপরাধে রাশিয়ার সেনাদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
পশ্চিমা গণমাধ্যমের প্রতিবেদনেও অনেকবার বলা হয়েছে, ধর্ষণ বা যৌন সহিংসতাকে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া।
তবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভায় রুশ রাষ্ট্রদূত ইউক্রেনে যৌন সহিংসতা চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া দাবি করেছেন, এমন ঘটনার কোন প্রমাণ নেই। তবে ৩ জুন পর্যন্ত ইউক্রেনে ১২৪টি যৌন সহিংসতা বিষয়ক ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বিশ্ব খাদ্য সঙ্কটের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করার পর নিরাপত্তা পরিষদের ওই অধিবেশন থেকে বেরিয়ে যান রুশ রাষ্ট্রদূত।
চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সেনা অভিযান শুরু করে রাশিয়া। সেই থেকে দেশটির ৬৫ লাখের মানুষ এখন পর্যন্ত দেশান্তরি হয়েছেন।
বিভিন্ন অঞ্চলে এখনও রাশিয়ার সেনা অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে কোন ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেনি দুই দেশ।
সূত্র: বিবিসি