ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন এলাকায় পি কে হালদারসহ তার সহযোগীদের ৩০০ কোটির সম্পদ ও মালয়েশিয়ায় ৭ ফ্ল্যাট পেয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আজ মঙ্গলবার (৭ জুন) কলকাতার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ আদালতে তোলা হয় পি কে হালদারকে। তখনই আদালতকে এসব কথা জানায় ইডি।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে সন্ধান পাওয়া তার সব সম্পত্তি জব্দের আবেদন করা হয়েছে এদিন।
বাংলাদেশ থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অভিযুক্ত পি কে হালদার ভারতে শিবশংকর হালদার নামে পরিচিত। ইডি বলেছে, শিবশংকর হালদার পরিচয় দিয়ে ভারতের একাধিক সরকারি পরিচয়পত্র, যেমন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রেশন কার্ড, ভোটার পরিচয়পত্র, আয়কর দপ্তরের পরিচয়পত্র পিএএন বা প্যান, নাগরিকত্বের পরিচয়পত্র, আধার কার্ড ইত্যাদি জোগাড় করেছিলেন। পি কে হালদারের সহযোগীরাও একই কাজ করেছেন বলে জানিয়েছে ইডি।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা থেকে পি কে হালদারসহ তার আরও পাঁচ সহযোগীকেও ১৪ মে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এর আগে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পি কে হালদারের প্রাসাদসম বাড়িসহ অনেক সম্পদের সন্ধান পায় ইডি। ১৭ মে তাঁদের সবাইকে এই আদালতে তোলে ইডি।
আদালত প্রথমেই ১০ দিনের রিমান্ড দেন। এরপর গত ২৭ মে কলকাতার নগর আদালত আজ পর্যন্ত বিচারিক হেফাজতে রেখে জেরার নির্দেশ দেন। আজ আবার পি কে হালদারসহ ছয় অভিযুক্তকে ফের ১৪ দিনের কারা হেফাজতের নির্দেশ দেন আদালত।