গাজীপুরের তরুণী সাইদা ইসলামের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় মার্কিন যুবক রাইয়ান কফম্যানের। এই পরিচয় থেকে সম্পর্ক গড়ায় গভীর ভালোবাসায়। সেই ভালোবাসার টানেই মার্কিন যুবক রাইয়ান গাজীপুরে ছুটে এসেছেন সাইদার কাছে।
গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার ভোগড়া মধ্যপাড়া এলাকায় সাইদার বাড়ি। তিনি ওই এলাকার মোশারফ হোসেন মাস্টারের নাতনি এবং সিকান্দার আলীর মেয়ে। সাইদার বাবা মারা যাওয়ায় তিনি মায়ের সঙ্গে বর্তমানে তাঁর নানার বাড়িতে থাকেন।
সাইদার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার রাইয়ান আসেন বাংলাদেশে। এরপর রাইয়ান পরিবারের সম্মতিতে সাইদার সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে সাইদাকে সঙ্গে নিয়ে আমেরিকা ফিরে যেতে চান রাইয়ান।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরি রাজ্যের কানসাস শহরের নাগরিক রাইয়ান। তিনি সেখানকার একটি প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কারখানায় অপারেটর পদে কাজ করেন। লেখাপড়া করেছেন মাধ্যমিক স্কুল পর্যন্ত। তাঁর মা-বাবা ছাড়াও এক বড় ভাই রয়েছেন। তাঁরা সেখানে প্রত্যেকেই আলাদাভাবে বসবাস করেন।
সাইদার নানা মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আমার জামাইয়ের নাম সিকান্দার আলী। সে ঢাকার দনিয়া এলাকায় বসবাস করত। ২০১৯ সালে সে মারা যায়। জামাইয়ের মৃত্যুর পর আমার মেয়ে দুই নাতনিকে নিয়ে ঢাকা থেকে গাজীপুরে চলে আসে। এখন তাঁরা আমার এখানেই বসবাস করছে।’
সাইদা ইসলাম বলেন, ‘২০২১ সালের এপ্রিলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রথম পরিচয় হয় রাইয়ান কফম্যানের সঙ্গে। এ সময় আমরা নিজেদের ফোন নম্বর, ফেসবুক আইডি ও ঠিকানা বিনিময় করি। এরপর থেকে নিয়মিত যোগাযোগ হতো। ফোন ও ভিডিও কলে কথা বলতে বলতে আমাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয় এবং দুজন দুজনকে ভালোবেসে ফেলি। এভাবে প্রায় এক বছর ফেসবুকে প্রেম করি।’
সাইদা আরও বলেন, ‘এরপর দুজনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিই। রাইয়ান বিয়ে করার জন্য খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পরে তাঁর ও আমার পরিবারের সম্মতিতে রাইয়ান গত রোববার যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আসে। এ দিনই আমাদের প্রথম দেখা হয়।’
রাইয়ান জানান, আনুষঙ্গিক কাগজপত্র (কে-ওয়ান) ভিসা প্রসেসিং করতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। এসব সম্পন্ন হলেই তিনি সাইদাকে আমেরিকা নিয়ে যাবেন।