বেরসিক বৃষ্টি বাগড়া দিল ম্যাচ শুরুর আগেই। তবে বৃষ্টির পর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু এবং লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস এক রোমাঞ্চকর ম্যাচ উপহার দিল। আইপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে রজত পাতিদারের অপরজিত ১১২ রানের ইনিংসে চার উইকেটে ২০৭ রানের বড় সংগ্রহ পায় বেঙ্গালুরু। লড়াই করলেও কাঙ্খিত জয়ের দেখা পায়নি লক্ষ্ণৌ। ১৪ রানে হেরেছে তারা।
এই হারের ফলে লক্ষ্ণৌকে বিদায় নিতে হলো। আর জিতে ব্যাঙ্গালুরু কোয়ালিফায়ার-২ এ রাজস্থান রয়্যালসের মুখোমুখি হবে। ওই ম্যাচের বিজয়ী দলই খেলবে ফাইনালে; গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে।
২০৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রানে থেমে যেতে হয়েছে লক্ষ্ণৌকে। শুরুতেই কুইন্টন ডি ককের উইকেট হারানোটা তাদের জন্য অনেক বড় ক্ষতিকর হিসেবে দাঁড়ায়। ডি ককের উড়ন্ত সূচনা লক্ষ্ণৌকে অনেক ম্যাচেই জয় এনে দিয়েছে। কিন্তু এই ম্যাচে ৫ বলে ৬ রান করে আউট হয়ে যান বাঁহাতি প্রোটিয়া ওপেনার।
এরপর মনন ভোরাকে নিয়ে হাল ধরেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। ১১ বলে ১৯ রান করে আউট হন মনন ভোরা। দিপক হুডাকে নিয়ে ৯৬ রানের জুটি গড়েন রাহুল। ২৬ বলে ৪৫ রান করে আউট হন হুদা। ১টি বাউন্ডারি আর ৪টি ছক্কার মার মারেন তিনি।
১২ বলে যখন ৩৩ রান লাগবে, তখন বোলিংয়ে আসেন জস হ্যাজলউড। অজি পেসারের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে স্কুপ করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে শাহবাজ আহমেদের হাতে ধরা পড়েন রাহুল। ৫৮ বলে খেলা ৭৯ রানের ইনিংসটি আর কোনো কাজেই আসেনি।
এভিন লুইস বিধ্বংসী ব্যাটার হওয়া সত্বেও ব্যাটেই যেন বল লাগাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৯৩ রানেই থামতে হলো লক্ষ্ণৌকে। জস হ্যাজেলউড নেন ৩ উইকেট। আর হার্শাল প্যাটেল ৪ ওভারে ২৫ রান খরচে ১ উইকেট নিলেও রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।