রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ জ্যামার, রিপিটার ও নেটওয়ার্ক বুস্টারসহ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) – ৩। গত শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে র্যাব-৩ এর একটি দল এবং বিটিআরসির প্রতিনিধি মিলে মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। গতকাল রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতরা গত দুই বছরে দেশে দুই শতাধিক অবৈধ জ্যামার ও নেটওয়ার্ক বুস্টার বিক্রি করেছে। এসব ডিভাইস থ্রিজি এবং ফোরজি মোবাইল নেটওয়ার্কের কার্যক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে সক্ষম। মূলত দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও নাশকতার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এসব সরঞ্জাম সরবরাহ করে আসছিল তারা।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো. আবু নোমান (২৮) ও সোহেল রানা (৩৭)। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক জ্যামার ৪টি, জ্যামার এন্টেনা ২৪টি, এসি অ্যাডাপ্টর ৪টি, পাওয়ার ক্যাবেল ৩টি, মোবাইল নেটওয়ার্ক বুস্টার ৩টি, বুস্টারের আউটডোর এন্টিনা ৯টি, ইনডোর এন্টিনা ২৬টি, ক্যাবল ৩৭টি, ল্যাপটপ ১টি উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাব-৩ অধিনায়ক (সিও) বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে এসব জ্যামার ও নেটওয়ার্ক বুস্টার বিক্রি করা হচ্ছিল। গ্রেফতার নোমানের আইটি স্টল.কম.বিডি নামে ই-কমার্স ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ রয়েছে। অপর আসামি সোহেল রানার সোআইএম বিডি নামে ই-কমার্স ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ রয়েছে। ই-কমার্স ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজের মাধ্যমে তারা আইপি ক্যামেরা, ডিজিটাল ক্যামেরা ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশের পাশাপাশি উচ্চ মূল্যে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে জ্যামার ও নেটওয়ার্ক বুস্টারসহ এর যন্ত্রাংশ লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে বিক্রি করতেন। জ্যামার ও নেটওয়ার্ক বুস্টার টুজি, থ্রিজি এবং ফোরজি মোবাইল নেটওয়ার্কের কার্যক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে সক্ষম। তাদের ক্রেতা বিভিন্ন বহুতল ভবনের বাসিন্দা, মসজিদ কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও বিভিন্ন অপরাধী চক্রও উচ্চ মূল্যে এসব অবৈধ ডিভাইস কিনতো।
তিনি আরো বলেন, দুই বছরে দুই শতাধিক জ্যামার ও নেটওয়ার্ক বুস্টার বিক্রয় করা হয়েছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। আমরা বিস্তারিত তালিকা পাইনি। তবে ওই তালিকায় বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম পেয়েছি। খুব শিগগিরই তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।