মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে মন্ত্রীর স্ত্রীরা হস্তক্ষেপ এবং তদবির বাণিজ্য করছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এসব বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে সংগঠনটি মন্ত্রণালয়ের কাজে স্ত্রীর হস্তক্ষেপের দায় নিয়ে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে।
আজ রোববার (৮ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান। গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতাসীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছেন। অথচ কিছু কিছু মন্ত্রীর স্ত্রীদের আদেশ-নির্দেশ পালনের ফলে বিভিন্ন দপ্তরের কাজে অনিয়ম-দুর্নীতি এখন আকাশচুম্বী।’
‘দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মন্ত্রীর স্ত্রীদের পৃষ্ঠপোষকতায় ৮-১০ বছর ধরে স্বপদে থেকে টাকার কুমিরে পরিণত হচ্ছে। এতে অনেক দপ্তর এখন আমলাদের হাতে জিম্মি। ফলে যোগাযোগ সেক্টরে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।’
বিবৃতিতে প্রশ্ন তোলা হয়, ‘রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মতো কচ্ছপ গতির মন্ত্রণালয়ে একটি জনবান্ধব সিদ্ধান্ত নিতে বছরের পর বছর ফাইল আটকে থাকে। অথচ অফিস খোলার সঙ্গে সঙ্গে সকাল ১০টায় একজন কর্তব্যরত টিটিইকে কীভাবে বরখাস্ত করা হলো, দরখাস্ত কোন সময় গ্রহণ করা হলো, কখন যাচাই-বাছাই করা হলো, কে এই অভিযোগ রিসিভ করলো, কে বরখাস্তের আদেশ অনুমোদন করলো?’