চট্টগ্রাম বন্দরে দুঃসাহসিক অভিযানে বঙ্গোপসাগরে রফতানি পণ্যবাহী একটি জাহাজ ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে। এর ফলে রক্ষা পেয়েছে জাহাজে থাকা ৮০০ কোটি টাকার রফতানি পণ্যও। ভিয়েতনামের পতাকাবাহী এই জাহাজটির নাম এমভি হাইয়ান সিটি। জাহাজটি মেরামতের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে দেশের অন্যতম জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ড্রাই ডকে।
জানা গেছে, গত ১৪ এপ্রিল ভিয়েতনামের পতাকাবাহী এমভি হাইয়ান সিটি জাহাজটি রফতানি পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করে। কুতুবদিয়ার কাছাকাছি যাওয়ার পর এমটি ওরিয়ন এক্সপ্রেস নামে আরেকটি জাহাজের সাথে সংঘর্ষে ফলে হাইয়ান সিটি জাহাজের পোর্ট সাইডে কার্গো হোল্ডে ছিদ্র হয়ে পানি প্রবেশ করে এবং জাহাজটি ৭ ডিগ্রি কাত হয়ে যায়। কার্গো হোল্ডে পানি প্রবেশ করার কারণে জাহাজটি ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়। এরপর জাহাজটি কুতুবদিয়া এলাকায় নোঙর করে। ডুবে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে এবং জাহাজটি মেরামত করতে দ্রুত সমন্বয় সভা আহ্বান করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান। ঈদের ছুটি ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে জাহাজটিকে বার্থিং দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কক্সবাজার সৈকত থেকে ৪ শতাধিক রোহিঙ্গা আটককক্সবাজার সৈকত থেকে ৪ শতাধিক রোহিঙ্গা আটক
বুধবার (৪ মে) জাহাজটি কর্ণফুলী ড্রাই ডক জেটিতে ভেড়ানোর পর কন্টেইনার খালাসের জন্য কাস্টম ল্যান্ডিং পারমিট গ্রহণ করা হয় এবং কর্ণফুলী ড্রাই ডকের ফোরশোরে প্রয়োজনীয় ড্রেজিং সম্পন্ন করা হয়। জানা গেছে, প্রয়োজনীয় মেরামত শেষে পুনরায় কন্টেইনার ভর্তি করে জাহাজটি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে। জাহাজটি মেরামত করতে সাতদিন সময় লাগবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরের ইতিহাসে এটিই ছিল সবচেয়ে বড় ও দুঃসাহসিক উদ্ধার অভিযান। সাধারণত চট্টগ্রাম বন্দরে ৯ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভেড়ানো হয়। তবে হাইয়ান সিটি জাহাজের ছিদ্র দিয়ে পানি প্রবেশ করে ড্রাফট ১০ মিটারের বেশি হয়ে গিয়েছিল। এ কারণে জাহাজটি ড্রাইডকের জেটিতে ভেড়ানোর জন্য নদী ড্রেজিং করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে যা একটি নজিরবিহীন ঘটনা।