শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব এখন পড়ছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের ওপরেও। গত কয়েকদিনে শ্রীলঙ্কার জাফনা এবং মান্নার অঞ্চলের ১৬ জন দুই ধাপে ভারতের তামিলনাড়ুতে পৌঁছেছেন।
তামিলনাড়ু পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানায়, শরণার্থীরা শ্রীলঙ্কায় বেকারত্ব এবং খাদ্যের অভাবে পালিয়ে আসছে। তামিলনাড়ুর গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহে প্রায় ২০০ শরণার্থী আসার সম্ভাবনা রয়েছে৷
এক কর্মকর্তা বলেন, প্রথম ধাপে আসা ছয় শরণার্থী পুলিশকে বলেছে, তারা কয়েক সপ্তাহ ধরে খাবারের জন্য সংগ্রাম করার পর পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন। খাদ্য ও জ্বালানির প্রচণ্ড ঘাটতি এবং আয়ের অভাবের কারণে আরও অনেক পরিবার ভারতে পালিয়ে আসার পথ খুঁজছেন।
মান্নারের একজন মানবাধিকার কর্মী ভি এস শিবকরণ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, আমার পরিচিত অনেকেই শ্রীলঙ্কা ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তাদের কারও কারও ভারতীয় শিবিরে আত্মীয়স্বজন আছে, আবার কারও তামিলনাড়ুতে যোগাযোগ আছে। আগামীকাল (ভবিষ্যৎ) নিয়ে আতঙ্ক ও উদ্বেগ রয়েছে।
তিনি বলেন, এটা প্রায় নিশ্চিত সামনের সপ্তাহে চালের দাম (শ্রীলঙ্কান) ৫০০ রুপি কেজি হবে। আজ চালের কেজি ২৯০ রুপি, চিনির কেজি ২৯০ রুপি এবং ৪০০ গ্রাম গুঁড়ো দুধের দাম ৭৯০ রুপি।
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, গুঁড়ো দুধের দাম গত তিন দিনে ২৫০ রুপি বেড়েছে। গত সপ্তাহে কাগজের ঘাটতির কারণে শ্রীলঙ্কা সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুলের পরীক্ষা স্থগিত করেছে।
শ্রীলঙ্কার নগর উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী এবং একজন শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা নালাকা গোদাহেওয়া ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, বিষয়গুলোর ধীরে ধীরে উন্নতি ঘটছে। এটি সত্য যে আমরা ব্যাপকভাবে উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, যার সবই ডলার সংকটের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছি, আশা করছি এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি আরও ভালো হবে।