রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যদি পশ্চিমারা মনে করে আমরা পিছু হটব তাহলে এর অর্থ দাঁড়াবে- তারা রাশিয়াকে ঠিকমতো বোঝেনি। গতকাল বুধবার সকালে পুতিন এক টেলিভিশন ভাষণে এ কথা বলেন। খবর রয়টার্সের।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে তার লক্ষ্য অর্জন করবে। রাশিয়াকে বিভক্ত করা ও বিশ্বব্যাপী আধিপত্য অর্জনে পশ্চিমা প্রচেষ্টার কাছে মাথা নত করব না। তিন সপ্তাহের যুদ্ধে ইতোমধ্যে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন লাখ লাখ ইউক্রেনীয়।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, অদূর ভবিষ্যতে, এটি সম্ভব যে, কিয়েভে নাৎসিপন্থী সরকার গণবিধ্বংসী অস্ত্র পেত পারত। এটি হলে অবশ্যই তার লক্ষ্য হতো—রাশিয়া। পশ্চিমারা চায় ‘আঞ্চলিক অখন্ডতা লঙ্ঘনের মাধ্যমে রাশিয়াকে ভেঙে ফেলে নির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করতে’, বলেন পুতিন।
ইউক্রেন যুদ্ধের ২১তম দিনে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, যদি পশ্চিমারা মনে করে রাশিয়া ভেঙে যাবে অথবা পিছু হটবে তবে এর অর্থ হলো— তারা আমাদের ইতিহাস জানে না বা মানুষদের চেনে না। কপট কথাবার্তা ও পশ্চিমাদের সম্মিলিত পদক্ষেপের পেছনে প্রতিকূল ভূ-রাজনৈতিক লক্ষ্য রয়েছে। তারা শক্তিশালী ও সার্বভৌম রাশিয়া চায় না। পশ্চিমারা রাশিয়ার অর্থনীতি ধ্বংস করে দেওয়া ও দেশের প্রতিটি নাগরিকের ক্ষতি করার লক্ষ্য লুকিয়ে রাখা প্রয়োজনও মনে করছে না।
পুতিন জানান, ইউক্রেনের নিরপেক্ষ অবস্থানের বিষয়ে রাশিয়া আলোচনায় প্রস্তুত রয়েছে। ইউক্রেন জানিয়েছে, যুদ্ধ শেষ করতে তারা আলোচনায় প্রস্তুত। তবে তারা আত্মসমর্পণ করবে না বা রাশিয়ার দেওয়ার শর্ত মানবে না।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকে ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনারা। ইতোমধ্যে পূর্ব ইউরোপের দেশটির বেশ কিছু শহর দখলে নিয়েছে মস্কো। এ ছাড়া বেশ কিছু শহর অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
সংবাদ সূত্রঃ রয়টার্স