১২ বছরের নিচে যারা টিকা পাচ্ছে না তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুলে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে শিক্ষকরা যারা শিক্ষাদান করবে তাদের সবাইকেই টিকার আওতায় আসতে হবে বলে জানান তিনি।
আজ মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসে (বিসিপিএস) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, ডব্লিউএইচও\’র নির্দেশনা পেলেই ১২ বছরে নিচের শিশুদেরও টিকা দেওয়া হবে।
আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে এক কোটি মানুষকে করোনা টিকা দিতে চায় সরকার। সেদিন টিকাদানে মূল লক্ষ্য শ্রমজীবী মানুষ। কারণ তাদের অনেকেই এখন টিকা নেননি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এক দিনে ১ কোটি মানুষকে টিকা দিতে চাই, টিকাদানে মূল লক্ষ্য থাকবে শ্রমজীবী মানুষ কারণ শ্রমজীবীদের অনেকে এখনো টিকা নেননি। তবে ২৬ তারিখের পরও টিকা কার্যক্রম চলবে। তখন দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। তাই এখনো যারা টিকা নেননি দ্রুত নিয়ে নেন। ২৬ তারিখে সব ইউনিয়নে টিকা দেওয়া হবে। কেন্দ্রের নাম ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ওই দিন ভোটার আইডি কার্ড, জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে গেলেই টিকা পাবেন নাগরিকরা। এছাড়া যাদের ভোটার আইডি কার্ড, জন্মনিবন্ধন নেই তারা নিজ ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর দিয়েও টিকা নিতে পারবেন। আর মোবাইল না থাকলে তার নাম-ঠিকানা নিয়ে টিকা দেওয়া হবে।
১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শিশুদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনো অনুমোদন দেয়নি। অনুমোদন পেলে দেওয়া হবে। এখন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাস্ক পরতে হবে।
এখন করোনা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেকটা ভালো জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, গতকাল সংক্রমণ এবং আক্রান্তের সংখ্যা কম ছিল। তাই আমরা আজ থেকে স্কুল-কলেজ খুলে দিয়েছি।