শিল্পী সমিতি নির্বাচন নিয়ে শেষই হচ্ছে না যেন নাটকীয়তা। আজ ভাগ্য নির্ধারণ চূড়ান্ত হবে জায়েদের। জায়েদ খান সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শপথ নিতে পারবেন কি-না, তা আজ চূড়ান্তভাবে জানা যাবে। বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির নির্বাচন শেষ হয়েও যেন শেষ হচ্ছে না। ভোটাভুটি হয়েছে ৬ দিন হয়ে গেল। তবুও থামছে না নির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক। বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদক জয়ে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ আক্তার। তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি না মানার অভিযোগ এনেছেন ইসি পদে নির্বাচিত চুন্নুর বিরুদ্ধেও।
এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান শিল্পী সমিতির নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও সচিব বরাবর দিকনির্দেশনা চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদফতর আপিল বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী এ ঘটনার সুরাহা করতে আপিল বোর্ড মাঠে নেমেছে। আজ বিকেল ৪টায় শিল্পী সমিতির অফিসে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে উপস্হিত থাকতে অভিযোগকারী নিপুণ, অভিযুক্ত জায়েদ খান ও চুন্নু, দুই নির্বাচন কমিশনার জাহিদ হোসেন, বি এইচ নিশান, শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকে চিঠি দিয়েছে আপিল বোর্ড।
শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্রে শপথ গ্রহণের বিষয়ে বাধ্যবাধকতা নেই বলে জানান নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমাদের গঠনতন্ত্রের কোথাও শপথের কথা উল্লেখ নেই। আমরা এটা করি জাস্ট ফরমালিটিজ। আনুষ্ঠানিকতা হলো বিদায়ী কমিটি নতুন কমিটিকে ক্ষমতা বুঝিয়ে দেবে। যেমন- সেক্রেটারি নতুন সেক্রেটারিকে বুঝিয়ে দেবে। যেহেতু আমি নিজেই সেক্রেটারি তাই আমারটা বুঝে নিয়েছি।’
জানা গেছে, ৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব বুঝে নেবে শিল্পী সমিতির নতুন কমিটি। তবে সাধারণ সম্পাদক পদের কী হতে পারে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন। এদিন জায়েদ খানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিপুণের অভিযোগ সত্য প্রমাণ হলে ‘প্রশাসক’ বসানো হতে পারে শিল্পী সমিতিতে। আজকের রায় প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেন, ‘আমি বরাবরই বলেছি, নানাভাবে আমাকে হেনস্হা করা হয়েছে। আমি আমার জায়গা সৎ ছিলাম, আছি, থাকবো। তাই আজকের রায়ে আমার সততার মূল্যায়ন হবে বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
