গত শুক্রবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের দিন আলোচিত অভিনেতা হিরো আলম এফডিসিতে প্রবেশ করতে পারেননি। ভোটার না হয়েও নির্বাচনের দিন এফডিসিতে এসেছিলেন হিরো আলম। তবে প্রবেশ কার্ড না থাকায় তাকে প্রধান ফটক থেকেই ফিরিয়ে দেন নিরাপত্তারক্ষী কর্মীরা।
সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে আলোচনায় আসা এই অভিনেতা এতে খুব হতাশ হয়েছেন। আর কখনো এফডিসিতে যাবেন না এবং আর কোনো চলচ্চিত্রই নির্মাণ করবেন না বলেও মনস্থির করেছেন তিনি। গত সোমবার এক ভিডিওবার্তায় হিরো আলম এসব কথা বলেন।
কান্না জড়ানো কণ্ঠে এই অভিনেতা বলেন, ‘চিন্তা-ভাবনা ও নিজের কাছে প্রশ্ন করলাম। তারপর সিদ্ধান্ত নিলাম, আমি আর কোনোদিন এফডিসিতে যাবো না। কোনো চলচ্চিত্র নির্মাণ করব না। কেননা সুশীল সমাজ আমাকে মেনে নিতে পারে না। আবার এফডিসির লোকজন আমাকে নিতে পারছে না। তারা একের পর এক ধিক্কার, লাঞ্ছিত করে যাচ্ছে আমাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সবসময় সবার জন্য কথা বলি। এখন থেকে আর বলব না। আমি সিনেমাকে ভালোবাসি। আমার ব্যবসা, ইউটিউব, কনসার্ট থেকে যে টাকা আয় করি তা দিয়ে সিনেমা তৈরি করছি। কিন্তু এফডিসির কিছু লোক বলছে আমি সিনেমাকে নষ্ট করে ফেলছি। তাই আমার সঙ্গে ভালো কোনো শিল্পীকে কাজ করতে দেওয়া না। তাই আজ থেকে সিদ্ধান্ত নিলাম কোনো সিনেমা করবো না।’
হিরো আলম নাকি দেখতে বানর আর বানর খেলা দেখাতেই এফডিসিতে আসেন এমন কথার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমাদের নাকি তাদের সমাজে নিলে তাদের অনেক সমস্যা। আমি এফডিসিতে গেলে অনেক ভক্ত-লোকজন আমার পেছনে আসেন। আমি নাকি বানর! শাহীন সুমন বলে, আমি নাকি বানর! এ কথা অনেকেই বলে। আমি নাকি বানর খেলা দেখানোর জন্য এফডিসিতে যাই। তাহলে আমার মতো যারা স্টার আছে তারাও বানর! তাদেরকে দেখতে জনগণ যায়। আমাকে এই বিষয়গুলো নিয়ে অপমান করা হয়েছে।’
সব মিলিয়ে এফডিসি এই অভিনেতা আর সিনেমা বানানোর থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সবশেষে হিরো আলম বলেন, ‘আমি তো ওই জীবনেই ভালো ছিলাম। একবেলা কাজকাম করে আসিলাম। মাকে নিয়ে একটা কুঁড়ের ঘরে থাকতাম। ওই জীবনই ভালো ছিল। এই সমাজের লোক আমাদের মেনে নেবে না। তাদের কাছে গেলে তারা আমাকে ধিক্কার দেয়, অপমান করে। আমার চেহারা ভালো না, তারা আমাকে কষ্ট দেয়, অপমান করে।’
