অন্যান্য খাতের মতো আফগানিস্তানের পর্যটন খাতেও ব্যাপক ধস

তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর অন্যান্য খাতের মতো আফগানিস্তানের পর্যটন খাতও পড়েছে বিপর্যয়ে। দেশটির একমাত্র ন্যাশনাল পার্ক বন্দ-ই-আমির গত চারমাস ধরে পর্যটক শূন্য। এলাকাটির বেশিরভাগ পরিবারের আয় পর্যটন কেন্দ্রিক হওয়ায় পড়েছেন বিপাকে। আর্থিক সংকটের কারণে তারা কাটাচ্ছেন মানবেতর জীবন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ হাজার ফুট উপরে অবস্থিত আফগানিস্তানের বামিয়ান প্রদেশের বন্দ-ই-আমির। গাঢ় নীল পানির পাহাড়ি হৃদ কিংবা এর চারপাশের শ্বেত শুভ্র বরফে ঢাকা পাহাড়গুলো মুগ্ধ করবে যে কাউকেই। এ এলাকাটি ২০০৯ সালে জাতীয় উদ্যানের স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশটির একমাত্র জাতীয় উদ্যানও এটি।

কিন্তু বর্তমানে এখানে কোনো পর্যটকের দেখা মিলবে না। যেনো অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই এলাকটি পড়ে রয়েছে অবহেলায়। কয়েকমাস আগেও চিত্রটি এমন ছিল না। মানুষের সরব উপস্থিতি ছিল এখানে। তালেবান ক্ষমতায় আসার পরই বদলে যায় পরিস্থিতি, বন্ধ হয়ে যায় পর্যটকদের আনাগোনা।বন্দ-ই-আমিরের প্রতিটি পরিবারের জীবিকাই পর্যটন শিল্প নির্ভর। তাই পর্যটক না আসায় তারা পড়েছেন চরম আর্থিক সংকটে।

এতে আফগানিস্তানের এক লোকাল ট্যুরিস্ট গাইড বলেন, এই গ্রামে ৭০ থেকে ৮০টি পরিবার রয়েছে। তাদের প্রত্যেকের জীবিকাই এখানে আসা পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। তবে গত দুই বছর ধরে এখানকার মানুষের আয় নিন্মমুখী। করোনাভাইরাসের কারণে পর্যটকের সংখ্যা কমে গিয়েছিল, এখন তালেবান ক্ষমতায় আসার পর তা বন্ধই হয়ে গেছে। গত বছর আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলে নেয়ার পর থেকেই দেশটির অন্যান্য খাতের মতো পর্যটন খাতেও ধস দেখা দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

Scroll to Top