তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ফেঁসে গেছেন ঢাকাই ছবির নায়িকা মাহিয়া মাহিকে মোবাইল কলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং জোর করে তুলে আনার হুমকির ঘটনায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চিত্রনায়ক ইমন ও মাহির সঙ্গে ওই কথোপকথনের কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা ও প্রতিবাদের ঝড়।
তারও আগে গত ১ ডিসেম্বর নাহিদ হেলাল মহিউদ্দিন নামে এক ইউটিউবারের লাইভে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ। এরপর থেকেই সে ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয় তাকে নিয়ে। তুমুল সমালোচনা চলছে সেই বির্তকিত লাইভের উপস্থাপক নাহিদকে নিয়েও। নেটিজেনদের এক অংশের বক্তব্য ডা. মুরাদকে সেই উপস্থাপকই উত্তেজিত করে জাইমা রহমানকে নিয়ে ওইসব বিতর্কিত মন্তব্য করান।
ইউটিউবার নাহিদ এ ঘটনায় মুখ খুলেছেন। ৬ ডিসেম্বর রাতে তিনি নিজের ফেসবুক পেজে এক ভিডিওবার্তা বিষয়টির ব্যাখ্যা দেন। ডা. মুরাদ হাসানের সেই লাইভের উপস্থাপক নাহিদকে বলেন, ‘আমার লাইভ সেশনে উনি (ডা. মুরাদ হাসান) কিছু উক্তি করেছেন। যেগুলো ব্যাসিকালি উনার নিজস্ব মতামত। আমি সত্যিই মনে করি এগুলো খুবই লজ্জাজনক ছিল, খুবই অপমানজনক ছিল, বিশেষ করে আমাদের নারী সামাজের জন্য। যা ছিল খুবই খারাপ এবং আমি তা সমর্থন করি না।’
নাহিদের ভাষ্য, ‘সেই লাইভে আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম বিএনপির পরবর্তী নেতৃত্ব নিয়ে আপনার কোনো কমেন্ট আছে কি না। তার উত্তরে উনি হঠাৎ করে জাফরউল্লাহ সাহেবকে নিয়ে উনার ভাষণ দেওয়া শুরু করেছিলেন। এরপর জাইমাকে নিয়ে অনেক আজেবাজে কথা বলেছেন। যা ছিল খুবই খারাপ। যা আমি কখনো সমর্থন করি না। আমি তা আশাও করিনি।’
তিনি বলেন, ‘তবে আমি জানতাম তার ওই স্টেটমেন্টের কারণে বড় একটা ইস্যু তৈরি হবে। কিন্তু আমি তার সেই ভিডিওটি ফেসবুক থেকে ডিলিট করে দেইনি। কারণ উনি যদি খারাপ কিছু বলে থাকেন তার রেসপনসিবিলিটি তাকেই নিতে হবে। তবে সবার রিয়ালাইজেশন দেখে আমার মনে হচ্ছে এ নিয়ে উনাকে একটা সরিও বলতে হবে। এবং উনার একটা সরি বলা উচিত।’
বিতর্কিত সেই লাইভের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে দিয়ে সরি বলানোর জন্য আরেকটি লাইভের আয়োজন করেন জানিয়ে এই উপস্থাপক বলেন, ‘ওই লাইভের পর সরি বলানোর জন্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে নিয়ে লাইভের আয়োজন করি। এরপর গতকাল (৫ ডিসেম্বর) রাতে উনাকে আবারও লাইভে আনা হয়। তার আগে আধাঘণ্টা তাকে বোঝানো হয়। তারপরও উনি সরি বলেননি। এক পর্যায়ে লাইভের মধ্যে আমি নিজেই সরি বলি। এরপরের লাইভটিও ভালো ছিল না। ফলে আমি সেটি ডিলিট করে দিয়েছি। এ বিষয়টায় আমি খুশি হতে পারিনি।’