দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল নিজেদের ১৩তম রাউন্ডে মুখোমুখি হয়। আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টায় দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম সেরা দল আর্জেন্টিনা উত্তর পশ্চিমের শহর স্যান হুয়ানে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে স্বাগত জানায়।
নিজেদের মাঠে আর্জেন্টিনা শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে। শুরুর দশ মিনিটে বলের দখলেও এগিয়ে ছিলেন লিওনেল মেসিরাই। তবে শুরুর অর্ধেক সময় বলের দখলে পিছিয়ে থাকা ব্রাজিল নিজেদের গুছিয়ে নেয়। দুই দলই বেশ কিছু সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। ফলে সুপারক্লাসিকোর প্রথমার্ধ গোলহীনভাবেই শেষ হয়।
দুটি পরিবর্তন নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মাঠে নামে আর্জেন্টিনা। লাউতারো মার্টিনেসকে উঠিয়ে জোয়াকিন কোরেয়াকে নামান স্কালোনি। লিয়েন্দ্রো পেরেদেসের বদলি হিসেবে নামেন লিসান্দ্রো মার্টিনেজ। দুই দলই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। ৬০তম মিনিটে ভাগ্যের ফেরে গোলবঞ্চিত হয় ব্রাজিল। ডি-বক্সের বাইরে থেকে মিডফিল্ডার ফ্রেদের শট ক্রসবারে বাধা পায়। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে ভালো একটা সুযোগ পান মেসি। তবে ডি-বক্সের মুখ থেকে গোলরক্ষক বরাবর নিচু শট নেন রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার। কিন্তু গোলরক্ষণ অ্যালিসন দুর্দান্তভাবে তা ঠেকিয়ে দেন। রেফারির বাঁশিতে গোলশূন্যাবস্থায় শেষ হয় ম্যাচ। এ ফলাফলের পর পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলকে।
এই ম্যাচে মাঠে নামার আগেই কাতার বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল। তাদের জন্য এই ম্যাচ ছিল কেবলই আনুষ্ঠানিকতা। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার লক্ষ্য ছিল সেলেসাওদোর হারিয়ে টিকেট নিশ্চিত করবে। কিন্তু ব্রাজিলকে হারাতে পারেনি তারা। তবে আজই আবার আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত হয়ে গেছে। কারণ আজ ইকুয়েডরের বিপক্ষে নিজ দেশে হেরে গেছে চিলি। ফলে গাণিতিক হিসাবে বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত হয়েছে মেসিদের। ১৩ ম্যাচ থেকে ৩৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে ব্রাজিল। সমান ম্যাচ থেকে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে আর্জেন্টিনা।