ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ফর ক্রিয়েটিভ ইকোনমি শীর্ষক পুরস্কার প্রবর্তন করে। বঙ্গবন্ধুর নামে পুরস্কার প্রবর্তন করায় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, উগান্ডা আজ এই পুরস্কার পেয়েছে। একদিন ইনশাল্লাহ বাংলাদেশেরও কোনো না কোনো উদ্যোক্তা এই পুরস্কার পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। পুরস্কারপ্রাপ্ত উগান্ডার মোটিভ ক্রিয়েশনের মতো বাংলাদেশের যুব সমাজও এগিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে পুরস্কার চালু করায় সংসদে ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে প্রস্তাব তোলা হয়। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাবেক প্রধান হুইপ আব্দুস শহীদ প্রস্তাবটি সাধারণ আলোচনার জন্য তোলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছি। এই সময় জাতিসংঘের ইউনেস্কো কর্তৃক জাতির পিতার নামে আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে জাতি হিসেবে আমাদের গৌরবের ও জনগণের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছি। সারাবিশ্বে বাংলাদেশ এখন মর্যাদা ও সম্মানের স্থানে উঠে এসেছে।
তিনি বলেন, যুব সমাজ শুধু চাকরির পেছনে ঘুরবে কেন, চাকরি দেবার যোগ্যতা অর্জন করবে। নিজের পায়ে দাঁড়াবে। নিজের ব্যবসা করবে, নিজেরা অন্যকে চাকরি দেবে। এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে আমাদের সরকারের আমলে।
এসময় স্পিকারকে উদ্দেশ্যে করে শেখ হাসিনা বলেন, আপনি (স্পিকার) জানেন যে, আমার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং শেখ রেহানার (বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা) ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ আমাদের কিছু তরুণ সংসদ সদস্য সকলে মিলে ইয়াবাংলা স্টার্টআপ প্রোগ্রাম নিয়েছে। এই প্রোগ্রামের জন্য বিশেষ বরাদ্দও রেখেছি। ছেলেমেয়েরা যদি কেউ উদ্যোগ নিতে চায়, আমরা তাদের পাশে দাঁড়াব। অনলাইনে কেনাবেচা, ই-কমার্স, ই-টেন্ডার চালু হয়েছে। আগামীতে আরও হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।