রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বাংলাদেশ রেলওয়ের জনবল ঘাটতির কথা স্বীকার করে বলেছেন, রেলে প্রায় ২৫ হাজার জনবলের সংকট রয়েছে। জনবলের এ সংকট কাটাতে আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ২৫ হাজার লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে।
আজ সোমবার ১৫ নভেম্বর বিকেলে রেল দিবস উপলক্ষে কমলাপুর রেলস্টেশনে আয়োজিত আলোচনা সভায় রেলমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী জনবল নিয়োগের কথা উল্লেখ করে আরও বলেন, ‘রেলের কোনো নিয়োগবিধি ছিল না, নিয়োগবিধি করা হয়েছে। নতুন জনবল কাঠামো অনুমোদন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আমরা স্টেশন মাস্টার পদে লোক নেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। সামনে লোকবল নেওয়ার আরও বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। এসব লোক নিয়োগ হলে লোকবল সংকট সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
বিভিন্ন সময় রেলকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ভারত আমাদের থেকে রেলব্যবস্থায় অনেক এগিয়ে গেছে। কিন্তু আমরা এখনো সেভাবে আগাতে পারিনি। যুদ্ধের সময় ও ৭৫ বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে রেলব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার সে অবস্থা থেকে রেলকে একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগব্যবস্থা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।’
রেলে এখন অনেক উন্নত দেশ বিনিয়োগ করতে চায় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রেলে এখন অনেক বড় বড় প্রকল্প চলছে। বিভিন্ন দেশ বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। চলমান প্রকল্পের কাজ শেষ হলে একটি উন্নত আধুনিক রেলব্যবস্থা গড়ে উঠবে। ইতিমধ্যে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি যতগুলো সিঙ্গেল লাইন আছে সবগুলোকে ডাবল লাইন করার।’
রেলকে সাধারণ মানুষের বাহন হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘রেল সাধারণ মানুষের একটি বাহন। রেলকে আমরা সাধারণ মানুষের জন্যই গড়ে তুলতে চাই। একই সঙ্গে রেলে মালামাল বহনেও গুরুত্ব দিতে হবে।’
এ সময় রেলের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার আবাসস্থলগুলো ভালো অবস্থায় নেই। তাদের থাকার জন্য বড় বড় বিল্ডিং করার পরিকল্পনা রয়েছে।
দ্বিতীয়বারের মতো ১৫ নভেম্বরকে রেল দিবস হিসেবে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ে উদ্যাপন করল। ভবিষ্যতে জাতীয়ভাবে রেল দিবস পালন করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কাছে আবেদন জানাবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনসহ আরও অনেক কর্মকর্তারা ছিলেন।